স্টাফ রিপোর্টার/ ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট!! ভোলা-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী দুর্ভোগ ও লঞ্চ রোটেশন মামলায় আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন লঞ্চ মালিক পক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান এর কোর্টে মালিক পক্ষের উকিল এ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে এ্যাডভোকেট মো. ইউছুফসহ কয়েকজন আইনজীবী সময়ের জন্য আবেদন করেন। আদালত তাদেরকে আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় প্রদান করেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট গোলাম মোরশেদ কিরণ তালুকদার ও এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৯ লভেম্বর রোটেশন প্রথা বাতিল ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে ভোলা চীপ জুডিসিয়াল কোর্টে ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমিন কুট্টি বাদী হয়ে ভোলার সাত লঞ্চ মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে সমন জারি করেন।
এ ছাড়াও ভোলা-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রীদের ভোগান্তী লাগবে গত ১১ নভেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেন সে সাথে যাত্রীদের সুষ্ঠভাবে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা গ্রহনের করতে বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ভোলার নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিবহন পরিদর্শক নাসিম আহমেদকে গুরুত্বপূর্ন এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন। ওই দিনেই ভোলা থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিচলাক বরাবর রোটেশন ও যাত্রী দুর্ভোগের কথা জানিয়ে প্রজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু প্রতিবেদন পাঠানোর এক মাস পার হতে চললেও পরিচালক তার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এবং রোটেশনও বাতিল হয়নি।
রোটেশন ও যাত্রী দুর্ভোগ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ভোলার সাধারণ মানুষ লঞ্চ মালিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এগুলো ভ্রুক্ষেপ না করে বিআইডব্লিউটিএর আইন অমন্য করে তাদের অবৈধ রোটেশন প্রথা চালু রেখেছেন। এ নিয়ে ভোলার সাধারণ মানুষের মনে লঞ্চ মালিকদের ক্ষমতার দাপট নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।
মামলার আইনজীবী এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম জানান, আদালতের নোটিশ পাওয়ার পরই লঞ্চ মালিক পক্ষ এ অবৈধ রোটেশন প্রথা বাতিল করা উচিত ছিলো। কিন্তু তারা এ রোটেশন প্রথা বাতিল না করে কাল ক্ষেপনের জন্য আদালতে সময় চেয়েছেন। আদালত সাত দিনের সময় দিলেও আমরা আশা করব আগামী তারিখেই রোটেশন প্রথা বাতিল না করলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
ভোলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোলার লঞ্চ মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে রোটেশন প্রথার নামে মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। আদালত তাদেরকে সমন দেয়ার পরেও রোটেশন চালু রাখা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো। আমরা আগামী সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর মধ্যে যদি রোটেশন বন্ধ না হয় তাহলে ভোলার সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।