ইমতিয়াজুর রহমান,ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : জেরুজালেম রক্ষা ও ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও পথসভা করে ভোলার কয়েকটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। মঙ্গলবার(২২মে) সকাল ১১টায় ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
ভোলার প্রথম সেচ্ছাসেবী সামাজিক সসংগঠন হেল্প এন্ড কেয়ার, ভোলা জার্নালিস্ট ফোরাম,সেচ্ছাসেবী রক্তদান সংগঠন বলাকা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
আয়োজিত মানববন্ধন ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন, ভোলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক শফিকুল ইসলাম (শফি),মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও এনটিভি’র স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট সম্পাদক মো: আফজাল হোসেন, সেচ্ছাসেবী সংগঠন বলাকা ভোলা জেলা সভাপতি ও ভোলা জার্নালিস্ট ফোরাম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান (ফাহাদ), সাংবাদিক মোকাম্মেল (মিশু), সেচ্ছাসেবী তরুণ লেখক ও সাংবাদিক এম শরীফ আহমেদ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বলাকার ভোলা সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক ইয়ামিন হাওলাদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ভোলা জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি শাহীন কাদের, সেচ্ছাসেবী মোস্তাফিজুর রহমান (মিশুক), বলাকা জেলা কার্যনির্বাহী সদস্য আরোহী ফেরদাউস, বলাকা ভোলা সরকারি কলেজ সভাপতি মোঃ সোহাগ হোসেন,বলাকা নাজিউর রহমান কলেজের সভাপতি মোঃ লাভলু, বলাকার দৌলতখান উপজেলার সভাপতি রমজান আলী, বলাকার দৌলতখান উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম (বাবু), হেল্প এন্ড কেয়ার এর প্রচার ও আইটি সম্পাদক ইমতিয়াজুর রহমান সহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গসংগঠনের প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,জেরুজালেম মুসলিমদের পবিত্র শহর। সেখানে আল-আকসা (বায়তুল মুকাদ্দাস) মসজিদ অবস্থিত। ওই শহরের ওপর ইসরাইলের কোনো অধিকার নেই।ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের জাতিসংঘে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
বক্তব্যে তারা আরও বলেন,বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান ইসরাইলী পণ্যের তালিকা প্রকাশের প্রয়োজন। তালিকাভুক্ত সেইসব পণ্য বর্জন করার মাধ্যমেও আমরা আমাদের প্রতিবাদ জানাতে পারি। এক পর্যায়ে তারা আরও বলেন, ফিলিস্তুনি গণহত্যা যদি বন্ধ না হয় পরবর্তীতে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিবো এবং রক্ত দিয়ে হলেও জেরুজালেম রক্ষা করবো আমরা মুসলীমরা।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের ভূমিতে গনহত্যা চালিয়ে এবং ফিলিস্তিনের অধিবাসীদের এথনিং ক্লিংজিং করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদের এনে পুনর্বাসন করে অপরাষ্ট্র ইজরাইলের জন্ম দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলস্তিনের মানুষের অভ্যুত্থান হয়। এই অভ্যুত্থান “নাকবা” নামে পরিচিত। ১৫ মে ছিল নাকবার ৭০ বছর পূর্তি। নাকবা স্মরণে মিছিলে সন্ত্রাসী ইজরাইলি সেনা বাহীনির হামলায় শহীদ হন ৬২, আহত হয়েছেন ৩০০০ মানুষ। গত ৭০ বছর ধরে ইজরাইল এভাবে ফিলিস্তিনের নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করছে।