ভোলা নিউজ২৪ডটনে।। ভোলায় লাইজু আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ ঘরে রেখে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়েছেন। বৃহ¯পতিবার রাতে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার তরিকুল ইসলামের ছেলে তানজিলের স্ত্রী ও দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের মসু শিকদারের মেয়ে ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মসু শিকদারের মেয়ে দৌলতখান মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লাইজু আক্তারের সঙ্গে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তরিকুলের ছেলে তানিজিলের প্রেমের স¤পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা পরিবারের অমতে গত দুই মাস আগে কোর্ট কাবিন ও কাজীর মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের পর স্ত্রী লাইজুকে নিয়ে তানজিল তাদের বাড়ি চলে আসে। তানজিলের পরিবারের লোকজন লাইজুকে সহজে মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের পরিবারের মধ্যে কলহ চলছিল।
তারা আরো জানান, বৃহ¯পতিবার রাতে তানজিলদের ঘরের দরজা-জানালা খোলা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এ অবস্থায় তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই ঘরের একটি রুমে কম্বল দিয়ে ঢাকা লাইজুর লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোফাজ্জল হোসেন জানান, রাত ৯টার দিকে স্থানীয়দের খবর পেয়ে আমরা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছি। তার মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের স্বামীসহ পরিবারের কোনো লোকজনকে পাওয়া যায়নি।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে রহস্য জানা যাবে।
তিনি আরো জানান, নিহতের স্বামী ও তার পরিবার লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।