এম শাহরিয়ার জিলন, ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :ভোলায় যৌতুকের দায়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে মাহেব আলম নামের এক লেগুনা ড্রাইভারের বিরুদ্ধে। মাহেব আলম সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মতিন আখনের ছেলে। রবিবার দুপুরে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খুরশিদা বেগম নামের এক গৃহবধু এ অভিযোগ করেন। এ নিয়ে খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে স্বামী মাহেব আলম, শ্বশুর মতিন আখন, শ্বাশুরী শেতারা বেগমসহ চারজনকে আসামী করে রবিবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের করেন।
গৃহবধু খুরশিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ২০১৩ সালের দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আব্দুল মতিন আখনের ছেলে মাহেব আলমরে সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার বাবা আব্দুল খালেক মেয়ের সুখের কথা বিবেচনা করে জামাই মাহেব আলমকে নগদ দুই লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান করে। এর পর চলতে থাকে তাদের সুখের সংসার। স্বামী ঢাকায় লেগুনা চালানোর সুবাদে খুরশিদা বেগম শ্বশুর-শ্বাশুরীর সাথে একই ঘরে বসবাস করত। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় তাদের সংসারে একজন কন্য সন্তান জন্মগ্রহন করেন। তার নাম রাখা হয় মারিয়া। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে তার স্বামী মাহেব আলম, শ্বশুর মতিন আখন, শ্বাশুরী শেতারা বেগম ও ননদ রুনা বেগম মিলে তাকে বাড়ি থেকে আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এনিয়ে তাকে তার বাবার বাড়িতেও পাঠিয়ে দিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে রাজাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু হাওলাদার গত ১০/১২দিন আগে শালিস মিমাংসা করে তাকে শ্বশুর বাড়িতে উঠিয়ে দেয়। এতেও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের চাহিদা মেটেনি। সর্বশেষ গত ৪/৫দিন আগে ঢাকা থেকে তার স্বামী মাহেব আলম বাড়িতে এসে যৌতুকের দুই লাখ টাকার কথা বলে। স্ত্রী খুরশিদা বেগম টাকা দিতে অস্বিকৃতি জানালে শুক্রবার সকালে স্বামী মাহেব আলম, শ্বাশুরী শেতারা বেগম ও ননদ রুনা বেগমসহ তাকে বেধরক মারধর করে। এবং ওই দিন বিকেলেই তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় ঘরে রেখে মাহেব আলম ঢাকায় চলে যায়। পরে পাশের বাড়ির লোকজন খুরশিদা বেগমের বোন রূপসী বেগমকে মোবাইলে খবর দিলে শনিবার সকালে রূপসী বেগম তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে খুরশিদা বেগম ভোলা সদর হাসাপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের ৬৬ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও মাহেব আলম একাধিক পরকীয়ার সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন স্ত্রী খুরশিদা বেগম।
অভিযুক্ত মাহেব আলমকে তার মুঠো ফোনে কল দিলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কোনো কথা না বলেই কল কেটে দেন। পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভড করেনি।
এব্যাপারে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. মোকতার হোসেন বলেন, আমদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।