ভোলা প্রতিনিধি।।ভোলার বোরহানউদ্দিনে সহিংসতার ঘটনা ছিলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তারা কেউ মাপ পাবে না। দোষীদের আইনের আওতায় আসতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচার হবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মলন করে এ কথা জানিয়েছেন ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।
তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ার উঠে এসেছে ঘটনার সাথে ছাত্রদল ও যুবদলের সম্পৃক্ততার প্রমান পাওয়া গেছে। মিছিলে থেকে ছাত্রদল সভাপতি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলো। সেই নির্দেশ কাকে দেয়া হয়েছিলো সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুরো ঘটনার গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে এবং তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই সব বলা যাবে। নেপথ্যে যারা ছিলো তাদের খুজে বের করা হচ্ছে। ইতমধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা হয়েছে আগামী ২৭ অক্টোবর আরো একটি প্রতিবেদন জমা হবে।
তিনি বলেন, তাওহীদি জনতার সকল দাবীর মধ্যে অধিকাংশ দাবী পূরন করা হয়েছে তার অংশ হিসাবে নিহতদের সহায়তা প্রদান করা।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সহিতংসতায় নিহত ৪ পরিবারকে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমদের পক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকার অনুদান তুলে দেন সাংসদ আলী আজম মুকুল। নিহত শাহিন, মাহফুজ, মিজান ও মাহবুরের পরিবান এ অনুদান গ্রহন করেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন হায়দার।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর ফেইসবুকে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোষ্ট দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ ডাকে তাওহিদী জনতা। সেই সমাবেশে বাধা দেয়ার ঘটনা নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও ৩৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত ৫ আসামীকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।