ভোলায় লক্ষ্য মাত্রার দ্বিগুন হয়েছে সূর্যমুখী চাষ

0
9

মো: আফজাল হোসেন :: চলতি বছরে দ্বীপ জেলা ভোলায় ব্যাপক র্সর্যমূখীর চাষ করেছে চাষীরা। তেলের চাহিদা পুরনের পাশাপপাশি এই ফুলের তেলের বেম কদর থাকায় কৃসকরা আগ্রহী বেমি। সফলতায় কৃষদের মুখী হাসি। তবে মার্টিং নিয়ে রযেছে চিন্তা।

 

দ্বীপ জেলা ভোলা। চারপাসটা মেঘনা আর তেতুলিয়া নদী বেস্টিত। যে কারনে এখান এর মাটি বেশ উর্বর। তাই সব ধরনের পসল ভারো হয় এখানে। চলতি বছরে সূর্যমুখীর চাষে বেশ ভালো ফলন হওয়ায় ব্যাপক খুঁশি কৃষকরা। বাজারে এ তেলের চাহিদা বেশি আর দামের দিগ থেকে ভালো থাকায় ভালো লাভের আশা করছে কৃষকদের। এখন কাটার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা বল্লেন,সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামের মো: আজিজুল মিয়া ও আব্দুর রহিম। তারা বলছেন,গত বছরের চেয়ে এবছর বেশি জমিতে অধিক লাভের আশায় সুযর্মূকি চান করেছি। আশা করছি লাভবান হব।তবে টিয়া পাখির আক্রমনে ক্ষতি এড়াতে অস্থির কষকরা। তবে প্রধান বাঁধা হচ্ছে কৃষি আফিসের অসহযোগীতা আর স্থানীয় দালাল।

 

ভোলার কৃষি অধিদপ্তর মতে,ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে সুর্যমূখি বড় ধরনের ভুমিকা রাখবে।উপকুলীয় দ্বীপজেলা ভোলা ফসল উৎপাদনে অন্যান্য জেলার চেয়ে এগিয়ে। বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি ও মান সম্মত না হয়ায় ক্রেতারা স্বাস্থ্য সম্মত তেল ব্যাবহার থেকে মুখ কিছুটা ফিরিয়ে নিলেও সূর্যমুখি তেল ক্রেতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তেল জাতীয় ফসলের মধ্যে সূর্যমুখি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন ফসল। স্বাস্থ্য সম্মত এ ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে প্রচুর।

 

ভোলার বিভিন্ন খেতে শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখির সমারোহ। দিনে দিনে মাঠ জুড়ে সূর্যমুখির হাসির আলোকছটা কৃষকদেরও নতুন সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। বাড়ছে চাষের পরিধিও। সূর্যমুখি তেলের চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা ভালো লাভবান হওয়ার আশা করছে। এবছরটায় দামও ভালো ফলনও ভালো।

দৌলতখান উপজেলার জয়নগর গ্রামের চাষি মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, আশা করছি এখন সূর্যমুখি কাটার অপেক্ষায় রয়েছি।ভালোই ফলন আর লাভবান হব। একই ভাবে ওই এলাকার নাছির মাঝি,এদিকে দৌলতখানের মিয়ার হাটের বিলকিস, নুরুন নাহার স্বামীর সাথেই খেতে কাজ করছেন। এসময় তিনি বলেন,অল্প খরচে বেশি লাভবান বলেই সূর্যমূখী চাষ করেছি। গ্রামীন জনউন্নযন সংস্থ্যা সব সময়ই আমাদের সহযোগীতা করে যাচ্ছে।

 

কৃষি বিভাগের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সমন্বনিত কৃষি ইউনিটের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা ভোলায় বিভিন্ন কৃষককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিনামূল্যে বীজ, জৈবসার ও আন্ত ফসল হিসাবে ধনিয়া ও সয়াবিনের বিজ প্রদান করে আসছে।দৌলতখান উপজেলার জয়নগর গ্রামের চাষি মোঃ বাচ্চু মাঝি জানান, তাকে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা থেকে সূর্যমুখির বিজের সাথে আন্ত:ফসল হিসেবে ধনিয়ার বিজ দিয়েছে। ৫০শতক জমিতে তিনি চাষ করেছেন, প্রথমেই ধনিয়া পাতা বিক্রি করে আগাম আয় করেছেন ২০ হাজার টাকা। এখন সূর্যমুখি কাটার অপেক্ষায় রয়েছে।

 

ভোলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ হাসান ওয়ারেসুল কবির বলেন, জেলায় চলতি বছর সূর্যমুখি আবাদের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছিলে ৫শ’ হেক্টর জমি। লক্ষ মাত্র ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ১ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে ফলন ২টন করে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে তিনি। এ ছাড়াও সূর্যমুখি তেল পুস্টিগুনে ভরপুর ও চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় দিন দিন সূর্যমুখির আবাদ বেড়ে চলছে বলে তিনি জানান।

LEAVE A REPLY