ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।ভোলার চরফ্যাশনে পরিত্যক্ত নির্জন বাড়ি থেকে মাথা বিহীন দুইটি দগ্ধ ডাবল মার্ডারের মূল হত্যাকারী ভাড়াটে খুনি শরিফুল ইসলাম (২৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।চট্টাগ্রামের দেবপাড়া এলাকা থেকে ভোলার পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
জমি বিক্রির টাকা নিতে এসে খুন হওয়া দুই ভাইর চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের গ্রেফতার হওয়া ভাড়াটে খুনী শরিফুল ইসলাম কে সোমবার সন্ধ্যায় চট্টাগ্রামের দেবপাড়া এলাকা থেকে ভোলার পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে মঙ্গলবার ৪মে ভোলায় নিয়ে আসে।খুনী শরিফুল ইসলাম চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের শাহে আলমের ছেলে। সে চট্টগ্রাম শহরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানির গাড়ীর ড্রাইভাড় হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার জানান, গত ৮ এপ্রিল ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়নের সুন্দরী ব্রিজের কাছে একটি পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে মাথা বিহীন দুইটি অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনার ১৪ দিন পর ঘটনাস্থলের পাশে একটি বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকি থেকে দুইটি মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়।একই সাথে হত্যার পরিকল্পনাকারী আছলামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মো. বিল্লাল, আবুল কাশেম ও আবু মাঝিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়। এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছেনি উদ্ধার ও মূল হত্যাকারী ভাড়াটে খুনি শরিফুল ইসলামকে ভোলা পুলিশের একটি টিম চরফ্যাশন থেকে আটক করে।
তিনি আরো জানান, তপন ও দুলালকে হত্যা করতে শরিফুল ইসলামকে আড়াই লাখ টাকায় ভাড়া করে বিল্লাল। হত্যা করতে শরিফকে প্রথমে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনি নিজ থেকে সব কিছু স্বীকার করলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। অন্যাথায় আমরা আদালতের মাধ্যমে তার রিমান্ড চাইবো।
উল্লেখ্যঃ- গত ৮ এপ্রিল চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের সুন্দরী ব্রিজের কাছে জামাল ভুঁইয়াদের পরিত্যক্ত নির্জন বাড়ি থেকে মাথা বিহীন দুইটি দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখনও তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানার এস আই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই সাথে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। সর্বশেষ ১৪ দিন পর লাশের পরিচয়সহ এর সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে পুলিশ।
পরে জানা যায়, নিহত দুই ভাই তপন চন্দ্র শীল ও দুলাল চন্দ্র শীল গত তিন বছর আগে চরফ্যাশন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের তাদের পৈত্রিক ৫৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে ভারত চলে যায়। ওই জমি ২০ লাখ টাকায় কিনে নেয় আছলামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মো. বিল্লাল ও তার শ্বশুর আবু মঝি। ওই সময় তারা মাত্র তিন লাখ টাকা দেয়। বাকী টাকা নেয়ার জন্য তপন ও দুলাল গত এক বছর আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। কিন্তু বিল্লাল তাদের টাকা না দিয়ে একের পর এক তারিখ দিতে থাকে এক পর্যায়ে তারা তিন মাস আগে চট্রগ্রামে চলে যায় মার্ডারের এক দিন আগে তাদের টাকা দেয়ার কথা বলে চরফ্যাশনে এনে নির্জন বাগানে ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে লাশে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।