ভোলার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের নাতি

0
522

ভোলা নিউজ২৪ডটকম ডেস্ক।। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে পলাতক আসামিদের অন্যতম ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ গত সোমবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার হয়েছে আজ তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়।

এমন খবরের মাঝেই জানা গেল,ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিব উল্যাহ পলাশ বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের নাতি শহর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় আলোচনার সমালোচনার ঝড় ওঠে।

মাজেদ গ্রেফতারের পর স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘকাল ধরেই বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের পরিবারকে পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীরা। যে কারণে তার নাতি পলাশ বিশ্বাস আজ ছাত্রলীগ নেতা এবং কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়েছে।মুজিব উল্যাহ ওরফে পলাশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরপর এ কমিটি স্থগিত করা হলে প্রভাবশালীদের চাপে তা পুনরায় বহাল রাখা হয় এমনটি বলছেন ছাত্রলীগের নেতারা।

ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা ও পদ প্রত্যাশীরা বলেন, মুজিব উল্যাহ পলাশ মিয়াকে কমিটির সাধারণ সম্পাদক করার আগে তাদের চিন্তা করা উচিৎ ছিলো।আমাদের কথা ভাবেনি তারা রাজাকার দিয়ে ছাত্রলীগ চালাবে ত্যাগিদের দাম নাই।সেই সময় কমিটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে সেই কমিটি একবার স্থগিত করা হয়েছিল। কেন আবার কমিটি দেওয়া হলো।

ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপন চৌধুরী জানান,তিন বছর আগে এই কমিটি আমাদের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জাকির সোহাগ ভাইয়ের সিদ্ধান্তে আমি কমিটি স্থগিত করেছিলাম। মুজিব উল্যাহ পলাশ এর নামে এমন একটি গুঞ্জন আমরা শুনতে পেয়েছিলাম তারপর থেকে তিন বছর এই কমিটি স্থগিত ছিল।কমিটি অনুমোদনের ব্যাপারে তিনি এরিয়ে যান।তিনি বলেন বিভিন্ন সময়ে অনেক সিদ্ধান্তই আমরা নিতে পারি না উপরের নির্দেশে আমাদের কাজ করতে হয়। বর্তমানে কিছু মাদকাসক্ত দিয়ে ভোলা জেলা ছাত্রলীগ পরিচালিত হচ্ছে তাই আমরা বলতে পারিনা বর্তমানে কি হচ্ছে।

বর্তমানে আপনাদের সিদ্ধান্ত কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো তিন বছর আগেই কমিটি স্থগিত করে দিয়েছিলাম আর বর্তমানে বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সেক্রেটারি সিদ্ধান্ত নিবেন আমরা বেশি কিছু বলতে পারব না।

ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজ মাহমুদ এ বিষয়ে বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি আমরা দেইনি। তাই এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারি না। আমাদের ওপর এর দায়ভার পড়ে না।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুজিব উল্যাহ পলাশ বিশ্বাস খুনি মাজেদের নাতি কিনা জানতে চাইলে

রিয়াজ মাহমুদ বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, বঙ্গন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত আব্দুল মাজেদ গত ২৩ বছর ধরে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। গত ১৬ মার্চ তিনি ঢাকায় ফেরেন। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুর সাড়ে এগারো নম্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

LEAVE A REPLY