মারাকানায় সেদিন দুই দলের পক্ষ থেকে ২ হাজার ২০০ জন মাঠে ঢুকতে পারবেন। অর্থাৎ ব্রাজিলের ২ হাজার ২০০ সমর্থক, আর্জেন্টিনার ২ হাজার ২০০ সমর্থক। তবে এ ম্যাচ দেখার জন্য আর্জেন্টিনা থেকে কারও ব্রাজিলে যাওয়ার সুযোগ নেই। ব্রাজিলে থাকা আর্জেন্টাইনরাই শুধু ঢুকতে পারবেন মারাকানায়। এর বাইরে ১ হাজার ১০০ টিকিট রাখা হবে অতিথিদের জন্য।
মাঠে ঢোকার জন্য দর্শকদের অবশ্য বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হবে। শুধু রিও ডি জেনিরো এবং এই শহরের আশপাশের মানুষই সুযোগ পাবেন খেলা দেখার। স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য সবাইকে করোনা পরীক্ষা দিতে হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাজিলে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত দানিয়েল সিওলি টিওয়াইসি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘বুয়েনস এইরেস থেকে অনেকেই যোগাযোগ করছে। এটা শুধু ব্রাজিলে বসবাস করা আর্জেন্টাইনদের জন্য। আজ বিকেল ও আগামীকালে ২০ ডলারের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা দিয়েই মারাকানায় যেতে পারবেন তাঁরা।’
রিও শহরের কর্তৃপক্ষ মহামারির এ সময়ে এমন সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছে, তার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন সিওলি, ‘এর আগে কোপা সুদামেরিকানা ও লিবের্তোদোরেসের ফাইনালে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার কিছু অংশ দর্শকে পূর্ণ করা হয়েছিল। সে সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। কনমেবলের সিদ্ধান্তেই ধারণক্ষমতার কত আসন ভরা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে রিওতে কতজন আর্জেন্টাইন আছেন, সে তালিকা আছে। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে।’
ব্রাজিলে এখন ১৮ হাজার আর্জেন্টাইন আছেন। ফলে ২ হাজার ২০০ আসনের জন্য এমনিতেই কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে। এর মধ্যে খেলোয়াড়দের পরিবারকেও এই হিসাবে নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্ন উঠেছিল। সিওলি আশ্বস্ত করেছেন, এমনটা হচ্ছে না, ‘তাঁরা ২ হাজার ২০০ দর্শকের বাইরে। তাঁরা সবাই একটি নির্দিষ্ট বক্সে থাকবেন এবং তাঁদেরও সবাইকে করোনা পরীক্ষা দিয়ে আসতে হবে।’