বিপ্লবের ভগ্নিপতি ও চাচাতো ভাইকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

0
388

চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট॥চরফ্যাশনে বোরহানউদ্দিনের আলোচিত বিপ্লবের ভগ্নিপতি ও চাচাতো ভাইকে তুলে নেয়ার অভিযোগ।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকরপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রোদ্রেরহাট বাজার থেকে বোরহানউদ্দিনের সম্প্রতি ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে আলোচিত বিপ্লব চন্দ্র শুভর ভগ্নিপতি বিধান মজুমদার (৩১) কে র‌্যাব ও ডিবির পরিচয় দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মা জুয়েলার্স থেকে। তুলে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বিধানের বাবা বিনয় ভূষন মজুমদার গতকাল মঙ্গলবার চরফ্যাশনের দুলারহাট থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং-৭৪৯। বিধানের বাড়ী গজারিয়ার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নে।
বিধানের বাবা বিনয় ভূষন মজুমদার বলেন মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মা জুয়েলার্স থেকে তার ছেলে বিধান ও বিপ্লবের চাচাতো ভাই সাগর (১৯) কে সিভিল পোশাকধারী ৭/৮ জন র‌্যাব ও ডিবির লোক পরিচয় দিয়ে কালো একটি গাড়িতে নিয়ে যায়। এর পর গতকাল লালমোহন ও চরফ্যাশন পুলিশ সার্কেল কার্যালয়ে খোজ নিয়ে জানতে পারেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য তাদের তুলে নেয়নি।
রোদ্রের হাট এলাকার ইউপি সদস্য আশ্রাফুল আলম টুলু বলেন বিধানের স্ত্রী শিল্পী তার কাছে ফোন করে জানান মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তার স্বামীর মা জুয়েলার্স থেকে বিধান ও সাগরকে একটি কালো গাড়ীতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
আবুবকরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন জমাদার বলেন, রোদ্রেরহাট বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, র‌্যাব এবং ডিবির পরিচয়ে আটক করে গাড়ীতে তুলে। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বিধানকে কি কারনে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তারা জানান বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় বিপ্লবের ভগ্নিপতি বিধান ও তার চাচাতো ভাই সাগর কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য গত রোববার ভোলার বোরহানউদ্দিনের মহানবী (সঃ) কে নিয়ে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক যুবকের ফেসবুক থেকে গুজব ছড়ানো হয়। এই ঘটনায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়। পরদিন সোমবার বিপ্লবের ফেসবুক আইডি হ্যাকিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ঈমন ও সাকিল কে আটক করা হয়। এই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিপ্লব, ইমন ও শাকিল ভোলা জেল হাজাতে রয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় চরফ্যাশন থানার ওসি সামছুল আরেফিন বলেন, বিপ্লব ও সাগরকে তুলে নেয়ার ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এই ঘটনা গুজব বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে এই ঘটনায় সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে দ্বীপ জেলা ভোলার অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার পায়তারা চালাচ্ছে।

দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন বিধানের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। ঘটনা পর্যবেক্ষনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চলছে। তবে বিধান ও সাগরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তুলে নেওয়ার ঘটনা তার জানা নেই।

 

LEAVE A REPLY