ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। করোনাকালেও সড়ক তৈরি শিখতে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বাবদ ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার প্রস্তাব করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)। একটি প্রকল্পের আওতায় এই প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল পরিকল্পনা কমিশনে।
তবে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। করোনাকালে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ খাত বাদ দেওয়া যৌক্তিক বলে মনে করে পরিকল্পনা কমিশন।
‘ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের ওপর পরিকল্পনা কমিশনে কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পের উদ্দেশ্যসমূহ যথাযথভাবে উল্লেখ করা হয়নি। প্রকল্পের উদ্দেশ্যসমূহ সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, বাস্তবভিত্তিক এবং সময়ভিত্তিক হয়নি।
অর্থাৎ স্মার্ট আকারে ডিপিপিতে লিপিবদ্ধসহ লগ – ফ্রেমটিকে সঠিকভাবে পুনর্গঠন করার বিষয়ে এলজিইডিকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মপ্রধান রবীন্দ্রনাথ বর্ম্মন বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়য়ন কমিটি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বাবদ যে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছিল তা বাতিল করতে বলেছি। আমরা বিশেষভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এখন একটা দুর্যোগ সময় পার করছি। এখন আমাদের অর্থের প্রয়োজন । করোনা সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্যখাতে অর্থের প্রয়োজন। এমন সময় বিদেশ ভ্রমণ ও প্রশিক্ষণ খাতে অর্থের প্রয়োজন নেই বলে আমরা মনে করি। এই জন্য এ খাতে অর্থ বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা সকল প্রকল্পেই বৈদেশিক প্রশিক্ষণ খাত নিরুৎসাহিত করছি।
প্রকল্পের কনসালটেন্সি খাতে ৩০ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। কাজের পরিমাণ বিবেচনায় এ খাতে অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়েছে বলে জানায় পরিকল্পনা কমিশন। এ খাতে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কনসালটেন্ট ব্যয় বাদ দেওয়া যেতে পারে এলজিইডিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। কনসালটেন্সি খাতে যৌক্তিকভাবে ব্যয় কমিয়ে পরামর্শকের ধরন, সংখ্যা, জনমাস, সম্মানীর পরিমাণ ইত্যাদি বিস্তারিত ব্যয় বিভাজন এবং পরামর্শকের Terms of Reference ( ToR ) ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করার কথা বলেছে কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পের প্রস্তাবিত সড়কসমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্রিজ/কালভার্টের বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি জানায়, প্রকল্পের কলেবর বৃহৎ হয়ে যাওয়ায় প্রকল্পের আওতায় ব্রিজ কালভার্ট ধরা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের মত হলো, ব্রিজ ও কালভার্ট বাদ দিয়ে শুধু সড়ক প্রশস্তকরণ হলে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট ব্রিজ ও কালভার্ট অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়।
প্রকল্পের আওতায় চার লেন সড়কের যৌক্তিকতা জানতে চাইলে এলজিইডির পক্ষ হতে জানানো হয়, কেরাণীগঞ্জের অধিকাংশ এলাকা অত্যন্ত জনবহুল। তাছাড়া প্রকল্প এলাকায় কিছু সড়ক উন্নয়ন করা হলে তা আন্তঃজেলা বাস চলাচলের উপযোগী হবে এবং নতুন বাইপাস রুট তৈরি হবে।