ভোলা নিউজ২৪ডটকম ।। প্রতারিত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ফিরে আসা ১০৪ জন প্রবাসীকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনস। দুবাই বিমানবন্দরে ৭৪ ঘণ্টা আটকে থেকে প্রবাসীদের ফিরে আসার ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করেছে ফ্লাই দুবাই কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিপূরণ হিসেবে, প্রত্যেক প্রবাসীকে টিকিটের মূল্য, সঙ্গে আরও সাড়ে তিন হাজার টাকা করে দেবে তারা। রোববার রাতে বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকারনামা দেয় বিদেশি এই এয়ারলাইনস। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হাফিজুর রহমান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত চিঠিতে ফ্লাই দুবাই জানায়, দুটি উড়োজাহাজে করে আমিরাত গিয়ে ঢুকতে না পেরে ফিরে আসা ক্ষতিগ্রস্ত সব যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ঢাকার ৫১ জন ও চট্টগ্রামের ৫৩ জন যাত্রী আছেন। প্রত্যেক যাত্রীর টিকিটের মূল্য, করোনার নমুনা পরীক্ষার দেড় হাজার টাকা এবং অভ্যন্তরীণ যাতায়াত বাবদ দুই হাজার টাকা পরিশোধ করা হবে। আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করে তারা।
রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হাফিজুর রহমানের কাছে ফ্লাই দুবাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। ৩৯ জন প্রবাসীর স্বাক্ষর করা লিখিত অভিযোগে বলা হয়, দুবাইয়ে ঢোকার কোনো অনুমতিপত্র ছাড়াই ফ্লাই দুবাই তাঁদের টিকিট দিয়ে নিয়ে গেছে। ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে তাঁদের কাছে। অনুমতিপত্র না থাকায় দুবাই অভিবাসন কর্তৃপক্ষ সবাইকে ফেরত পাঠিয়েছে। ৮ অক্টোবর ফ্লাইট থাকলেও একদিন দেরি করে ৯ অক্টোবর ঢাকা ছাড়ে ফ্লাই দুবাই। দুবাই বিমানবন্দরে ৭৪ ঘণ্টা থাকার পর ১১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা বিমানবন্দরে ফিরে আসেন তাঁরা।
অভিযোগ পাওয়ার পর প্রবাসীদের উপস্থিতিতেই ফ্লাই দুবাইয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। দুই অংশের বক্তব্য শুনে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টির সমাধান করেন তিনি। প্রবাসীরাও এতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় প্রবাসীদের রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
এ বিষয়ে বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রতারিত হয়ে ফেরা প্রবাসীদের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সামনে রেখেই ফ্লাই দুবাই কর্মকর্তাদের ডাকা হয়। এরপর দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।