ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিপজ্জনক হয়ে ওঠার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৯ নভেম্বর থেকে আবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মেয়র ডি ব্লাজিও জানিয়েছেন, নগরীতে করোনা সংক্রমণের হার ৩ শতাংশ অতিক্রম করার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ পর্যন্ত নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ছুটি অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
মেয়র ব্লাজিওর স্থানীয় সময় বুধবার সকালে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। অঙ্গরাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য তাঁকে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়।
পরে বুধবার বিকেলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সবকিছু ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য সময় নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন মেয়র।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ব্লাজিও বলেন, ‘আমাদের জন্য খারাপ সংবাদ। নগরীর করোনা পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করে ৩ শতাংশ পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে।’
মেয়র ব্লাজিও বলেন, নিরাপত্তার জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা করতে হচ্ছে। সব স্কুলভবন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। সিদ্ধান্তটি কারও জন্য সুখের নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এখন এই সিদ্ধান্তের ফলে নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম ভার্চ্যুয়ালি চলবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
নিউইয়র্ক সিটি স্কুল চ্যান্সেলর রিচার্ড ক্যারানজা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও তাঁদের পরিবারের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা আমাদের প্রধান আগ্রাধিকার। এসব বিবেচনা করেই সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নিউইয়র্ক নগরীতে। নিউইয়র্কেই করোনায় ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
নিউইয়র্কে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমে এসেছিল। কিন্তু এখন নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে।
শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণে আবার নগরীর হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
নিউইয়র্কের বাসাবাড়িতে ১০ জনের বেশি লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতে আমেরিকার সবচেয়ে বড় উৎসব ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবীরা সমাবেশ ও ঘরের পার্টি এড়িয়ে চলার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে টিকার অনুমোদন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।