ধাওয়া খেয়ে মেঘনায় ঝাঁপ দিয়ে জেলে নিখোঁজ, চার পুলিশ প্রত্যাহার

0
14

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন মো. নোমান (২৮) নামের এক জেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনার পর আজ শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকে আজ প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভকান্তি পাল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল, কনস্টেবল মো. রাসেল ও মো. সজিব।

নদীতে নিখোঁজ মো. নোমান দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম ব্যাপারীর ছেলে। তিনি পাতারখাল মাছঘাটে আলমগীর হোসেন কমিশনারের মাছের আড়তে কাজ করতেন।

দৌলতখান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি চাই। নইলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুরে দৌলতখান থানাসংলগ্ন পাতারখালের মাছঘাট এলাকায় তাস খেলার সময় কয়েকজনকে ধাওয়া করে পুলিশ। এ সময় মো. নোমান ও তাঁর সঙ্গীরা দৌড়ে গিয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেন। সবাই সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নোমান স্রোতে ভেসে যান।

স্থানীয় জেলে, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে আজ রাত আটটা পর্যন্ত নিখোঁজ নোমানের সন্ধান পাননি। তাঁদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিখোঁজ নোমানের পরিবারের সদস্যরা বলেন, দিনে দুই সময় মাছঘাটে মাছ কেনাবেচার ভিড় থাকে। বাকি সময় জেলে ও মৎস্য আড়তের কর্মীদের কোনো কাজ থাকে না। কাজ না থাকায় গতকাল দুপুরে নোমান তাঁর কয়েক বন্ধুকে নিয়ে নদীতীরসংলগ্ন ইটপাথরের আড়ালে বসে তাস খেলছিলেন। এ সময় পুলিশ এসে তাঁদের ধাওয়া করে।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দৌলতখান সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান মেঘনার তীর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, নিখোঁজ জেলে নোমানকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নোমান ছিলেন তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী নাসরিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাঁদের সাত বছরের একটি ছেলে রয়েছে। স্বামীকে হারিয়ে অকূলসাগরে পড়েছেন তিনি।

 

LEAVE A REPLY