তজুমদ্দিনের সেই ৫৪ প্রধান শিক্ষকের শোকজের চিঠি ঘিরে বিতর্ক।

0
197

মোঃইলিয়াছ,তজুমদ্দিন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৪ জন প্রধান শিক্ষকদের শোকজ এর চিঠি ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ২৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের ৫৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের শোকজ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার স্বাক্ষরিত সেই শোকজ এর চিঠিগুলোর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১৮ -১৯ অর্থবছরের ক্ষুদ্র মেরামত, ২০১৭ থেকে ২০১৯ অর্থবছরের স্লিপ, রুটিন মেরামত ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে অনিয়ম ও কাজ অসম্পূর্ণ রেখে অর্থ আত্বসাৎ সংক্রান্ত। নানা কারণে এ শোকজের চিঠি ঘিরে জনমনে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায় এতে তিন অর্থবছরের ক্ষুদ্র মেরামত ও স্লিপের হিসেবের গড়মিল প্রতীয়মান হয়েছে। সচেতন মহলের মতে বার্ষিক এ ধরনের পরিদর্শন হলে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রয় ও উন্নয়ন আরও স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়িত হতো। তাছাড়া কয়েকটি বিদ্যালয়ে তিন অর্থবছরে একাধিক প্রধান শিক্ষক দায়িত্বে থাকায় শোকজের চিঠিগুলো সুনির্দিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের প্রতি ইস্যু হলে আরও যথোপযুক্ত হতো।

শোকজের চিঠিতে শুধু টাকার অঙ্কের গড়মিল দেখানো হয়েছে তবে কোন্ কোন্ আইটেম ক্রয় বা বাস্তবায়ন করা হয়নি তার উল্লেখ চিঠিতে নেই বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক। এ ধরনের ক্রয়ের বিল পাসের ক্ষেত্রে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসারদের তদারকির বিধান থাকায় এর দায় তারা এড়াতে পারেনা।

এদিকে ক্ষুদ্র মেরামতের ক্ষেত্রে উপজেলা প্রকৌশলীর তদারকি এবং কাজের মান সন্তোষজনক মর্মে দেয়া প্রতিবেদন প্রদান করেন বিধায় অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়ম রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বলে দাবি স্থানীয়দের।

এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে শোকজ করা হয়েছে, উপজেলা প্রকৌশলীর সন্তোষজনক প্রতিবেদনের বিষয়ে তার ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট অভিযোগ হয়েছে সে বিষয়ে শীঘ্রই তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

LEAVE A REPLY