হেলাল উদ্দিন লিটন, তজুমদ্দিন ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :আগামীকাল ১ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে টানা দুইমাস ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কি.মিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ, বাজারজাত ও মজুদ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। মৎস সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০-এর ৩ ধারা মোতাবেক সকল প্রকার মাছ ধরার উপর সম্পূর্ণরূপে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন মৎস্য অধিদপ্তর। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সাধারণ জেলেদের পূনঃবাসনেরও ব্যবস্থা করবে সরকার। মৎস অধিদপ্তরের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মৎস অভয়াশ্রম হিসেবে প্রতি বছরের ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদী ও শাহবাজপুর শাখা নদীর প্রায় ৯০ কি.মি. এলাকা এবং ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলো মিটার এলাকায় সকল প্রকারের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নি¤œ অববাহিকার প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায়ও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। এসময়ে উপজেলা প্রশাসন, মৎস অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও পুলিশ এসব মৎস অভয়াশ্রম সমূহে নিয়মিত যৌথ টহলের ব্যবস্থা করবেন। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে কেউ এই আইন লঙ্ঘন করে মাছ ধরলে মৎস্য সংরক্ষণ আইনের ৫ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশন এলাকার বিভিন্ন মাছঘাটসমূহে গত কয়েকদিন ধরেই এবিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মৎস বিভাগের লোকজন। এসব এলাকার সকল বরফ মিল মালীকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বরফ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ রাখতে। পাশাপাশি মৎস্য আড়ৎগুলিতে এ নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানিয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে ১ মার্চ হতে ৩০ এপ্রিল মেঘনা নদীর সকল প্রকার মাছ পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ অথবা ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখা বা নীয়। তারপরও কেউ এই আইন অমান্য করে এই দুই মাস পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ অথবা ক্রয়-বিক্রয় করেন তাহলে মৎস্য সংরক্ষণ আইন এর ৫ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জেলেদের নিয়ে সচেতনতামুলক সভার আয়োজন করেছেন। তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আমির হোসেন (অ:দা:) জানান, ছোট মাছ সংরক্ষণ করা না হলে ভরা মৌসুমে মাছের সংকট দেখা দিতে পারে। সে জন্য মৎস অভয়াশ্রম সমূহে দুইমাস মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। আইন অমান্য করলে শাস্তির বিধান আছে। এজন্য সরকার চার মাস পর্যন্ত জেলেদের পূর্নঃবাসনের ব্যবস্থা করবে। খুব শীঘ্রই পূর্নঃবাসনের বরাদ্ধ চলে আসবে। দ্রুতই তা জেলেদের মধ্যে বন্টনের ব্যবস্থা করা হবে।