ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :তিয়ানশি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে হাজারো স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। লেখাপড়া করে ডিসি-এসপি, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে না, তিয়ানশিতে এক মাসেই কোটিপতি হওয়া যাবে-এরকম প্রলোভনে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখাবিমুখ হয়ে যাচ্ছে। টাকার জন্য ঘরে ঘরে অশান্তি। সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। এদিকে তারা এক কৌটা গুঁড়া পাউডার দিয়ে ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ ভালো করে ফেলার ঘোষণাও দিচ্ছে।জানা যায়, সর্বনিম্ন ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত পণ্য বিক্রয় করে কোম্পানির গ্রাহক বানিয়ে এমএলএম পদ্ধতিতে সদস্য সংগ্রহ করে চলেছে তিয়ানশি।
অথচ এ ধরনের কোম্পানির ওপর রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর গ্রামের কামাল হোসেন জানান, তার ছেলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তাকে তিয়ানশিতে নিয়ে ব্রেনওয়াশ করা হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, কষ্টে লেখাপড়া করে ডিসি-এসপি, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে না, তিয়ানশিতে এক মাসেই কোটিপতি হওয়া যাবে।সে ওই প্রলোভনে পড়ে কলেজে যাচ্ছে না, পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। তাকে তিয়ানশিতে ভর্তি হতে ১৪ হাজার টাকা দিতে হবে, না হলে সে বাড়ি ছেড়ে দেবে। বাধ্য হয়ে তাকে ১৪ হাজার টাকা দিতে হয়। সে নাকি আরও দুজন ঠিক করবে। তারা আরও চারজন আনবে। এভাবে হাত বাড়বে-আর নাকি কমিশন আসবে। তিনি ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিয়ানশির এজেন্ট বা দালালরা ডায়াবেটিস, প্যারালাইসিস, টিউমার, হাঁপানি, যক্ষ্মাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের রোগ নির্ণয় করছেন ছোট একটি যন্ত্র দিয়ে।তাদের ভাষ্য, এই যন্ত্রে সব রোগ ধরা পড়ে। আর সব রোগের ওষুধ আছে তিয়ানশিতে। এভাবে রোগ নির্ণয়ের মধ্য দিয়ে ওষুধ বিক্রির জন্য বেশ কিছু লোককে কমিশন এজেন্ট বা দালাল নিয়োগ দিয়েছে কোম্পানিটি।
এদিকে ছোট্ট যন্ত্র দিয়ে রোগ নির্ণয়ের নামে ফি হিসেবে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। ফির তিন ভাগের এক ভাগ পান এজেন্ট। অঞ্চলে তিয়ানশির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।