ভোলা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটনেট ।।সব রকম আলোচনা, সমালোচনা উপেক্ষা করেই সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর ফলে বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হলো।
সোমবার এই বিলে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার জাতীয় সংসদে বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর কন্ঠভোটে পাস হয়।
এতে ঔপনিবেশিক আমলের ‘অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট’ অন্তর্ভুক্ত করে এর পরিধি আরো বাড়ানো হয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ ওই আইন ভঙ্গ করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার সাজা হবে। আইনের আওতায় সর্বোচ্চ সাজা হবে ১৪ বছরের কারাদণ্ড। আইনে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার ও তল্লাশির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। তখন থেকেই আইনটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। সম্পাদক পরিষদ এই আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারা নিয়ে আপত্তি জানায়।
এছাড়াও ১০টি পশ্চিমা দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা আইনের ২১, ২৮, ৩২ ও ২৫ ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।
সম্পাদক পরিষদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে সংসদীয় কমিটি।
তখন কমিটি প্রতিবেদন দিতে তৃতীয় দফায় ১১ সেপ্টেম্বর এক মাসের সময় নিয়েছিল। কিন্তু পরদিনই তারা প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। এই প্রতিবেদনে অংশীজনদের মতামতের তেমন কোন প্রতিফলন ঘটেনি।
সর্বশেষ তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে এই বিলের প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদ তাদের ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করে।
সর্বশেষ তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে এই বিলের প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদ তাদের ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। ওই বৈঠকেও মন্ত্রীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন সম্পাদক পরিষদের আপত্তি ধারাগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।