এম মইনুল এহসান,ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ॥ তাবলীগ জামাতের চলমান সংকট নিরসনে ভোলার চরফ্যাশনে ওয়াজাহাতী জোর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চরফ্যাশন টাফনাল ব্যারেড (টিবি) স্কুল মাঠে এই ওয়াজাহাতী জোরে চরফ্যাশন উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসল্লিরা অংশ গ্রহন করে। ওয়াজাহাতী জোরে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন,জামিয়া রহমানিয়া মোহাম্মদপুর ঢাকার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক (র.) এর সুযোগ্য সন্তান মুফতি মাহফুজুল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন,শায়েখ জাকারিয়া রিসার্স সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ,কাকরাইলের জিম্মাদার সাথী মাওলানা আবদুল মতিন। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ইত্তেয়াদুল ওলামাইল মাদারিসিল কওমিয়া(আঞ্চলিক কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড) ভোলা জেলার সভাপতি মাওলানা মো: আনাছ, সম্পাদক ও জেলা ঈমান আক্কিদা সংরক্ষন কমিটির সভাপতি মাও. বশির উদ্দিন। এসময় বক্তারা বলেন,তাবলীগ জামাত প্রতিষ্ঠায় আলেম ওলামারা অনেক ভূমিকা রেখেছে। তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাও:ইলিয়াস (র.) দেওবন্দ মাদরাসার ছাত্র ছিলেন। তাবলীগ জামাত প্রতিষ্ঠার সময় ভারতের মুফতিয়ে আজম মুফতি কেফায়েত উল্লাহ (র.),মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানি (র.) সহ বড় বড় ওলামায়ে কেরামের সহযোগীতা ও সমর্থন নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান দেওবন্দি(র.),মাও: আশরাফ আলী থানবী(র.),মাওলানা আবদুর রহিম রায়পুরী(র.) সহ বড় বড় আলেম ওলামাদের সাথে সম্পর্ক রেখেছেন। মাওলানা ইলিয়াসের(র.) পরে তাবলীগ জামাতের আমির মাওলানা ইউসুফ কান্দলভি (র.) তৎকালিন সময়ের ভারত সহ এশিয়া মহাদেশের বিখ্যাত আলেম শাইখুল হাদিস মাওলানা জাকারিয়া(র.) এর পরামর্শ নিয়েছেন। অথচ বর্তমান সময়ে তাবলীগের সাথী নামধারী কিছু ব্যক্তি তাবলীগের ভিতরে ওলামা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। তাবলীগ জামাত প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে ওলামা এ কেরামের পরামর্শে চলছে এবং আগামীতেও চলবে। এসময় বক্তারা আরো বলেন,মাওলানা সাদ তাবলীগ জামাতের দীর্ঘদিনের উসুল ভঙ্গ করে যেসমস্ত শরিয়ত বিরাধী বিতর্কিত কথাবার্তা ও কর্মকান্ড করেছেন, তার কারনে বর্তমানে মাওলানা সাদের আনুগত্য করা যাবে না। কিন্তু যদি মাওলানা সাদ তার ভুলগুলো শুধরে নেয় এবং দারুল উলুম দেওবন্দ সহ ভারতের ওলামা এ কেরাম যদি মনে করে মাওলানা সাদ তার ভুল থেকে ফিরে এসেছেন তবেই মাওলানা সাদের আনুগত্য করা যাবে। এছাড়া মাওলানা সাদের আনুগত্য করা যায়েজ নাই।
ওয়াজাহাতী জোর থেকে আগামী জানুয়ারি মাসে ঢাকার টঙ্গী মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমাকে সফল করার জন্য সকলকে মেহনত করার আহবান জানানো হয়।