এ আর সোহেব চৌধুরী,চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের সাহেবেরহাট যেন ঈদ বাজারে পরিনত হয়েছে। এ নিয়ে সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চরফ্যাশন উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে সাহেবেরহাটে নিত্যপণ্যের বাজার ও দোকানগুলোয় কেনাকাটার ধুম পড়েছে।
চরফ্যাশনে নৌ-বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন জনসাধারণকে জনসমাগম না করে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তিন ফুট দূরুত্বে থাকার পরামর্শ ও সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করলেও দূরত্ব বজায় রাখছেন না বাজারে আসা এসব ক্রেতারা। সোমবা (৩০মার্চ) সকালে সাহেবেরহাট এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের ভিড় যেন ঈদ বাজারে পরিনত হয়েছে। আব্দুল্লাহপুর, দুলারহাট নীলকোমল, ঘোষেরহাট, নুরাবাদ, আহাম্মদপুর হাজিরহাট, হাজারিগঞ্জ, আবুগঞ্জসহ শশিভূষণ ও দক্ষিণ আইচা বাজাওে ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। দূরত্ব বজায় রেখে এক সঙ্গে তিন জনের বেশি জমায়েত না হওয়ার সরকারি নির্দেশনা কোনো কাজেই আসেনি এসব ক্রেতাদের কাছে।
মো. আব্বাস উদ্দিন, মো. হুমায়ুন, বেল্লাল হোসেনসহ একাধিক ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে আনাজপাতি (বাজার সদাই) কেনা হয়নি এবং পহেলা এফ্রিল থেকে আরোও করাকরি নির্দেশনা আসতে পারে, আর তাই সপ্তাহের আনাজপাতি কিনতেই বাজারে আসা। জনসমাগম করা নিষেধ থাকা স্বত্বেও ভিড় করে খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করা স্বাস্থ্য ঝুঁকি মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্রেতারা বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতো অবশ্যই আছে তারপরেও পরিবারের দিকে তাকিয়ে খাদ্যসামগ্রীতো নিতেই হবে, জনসমাগম বা ভিড় হলেও কিছুই করার নেই।
শাক সবজি বিক্রেতা বেলায়েত হোসেন বলেন, সকাল থেকেই বাজারে ভিড় এ ছাড়াও বাজার সংলগ্ন প্রফেসার মজিদ মিয়ার দরবার (তাবলীগ জামায়াতের বিচ্ছিন্ন গ্রæপ) থাকায় এ বাজারে প্রায়সই ভিড় থাকে। তারপরেও অন্যান্য দিনের চেয়ে বর্তমানে এখানে ক্রয়বিক্রয় দ্বিগুন হচ্ছে। মুদি দোকানদার মো. সোহাগ বলেন, জনসাধারণকে দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে বলছি তবুও তারা কথা শুনছেন না। প্রশাসনের নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কি করবো,দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকা ছাড়া অন্য উপায় দেখছিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জনসাধারণের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সাড়া দেশের ন্যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানসমূহ বাদে গণপরিবহন ও সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এবং যেসব এলাকা ও হাটবাজারে প্রশাসনিক নির্দেশনা অমান্য করছে সেইসব এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দোষি ব্যাক্তিদের অর্থদÐ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও রেড ক্রিসেন্টসহ নৌবাহিনী ও চার থানার পুলিশ প্রশাসন মাঠে রয়েছেন।