ভোলা নিউজ ২৪ডটনেট।। ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে সারা দেশে অভ্যন্তরীণ রুটে নৌ-চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বুধবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিচ্ছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বাতাস বইছে।
বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৪ নম্বর বিপদসংকেত চলতে থাকায় নৌ-নিরাপত্তা এবং নৌ-ট্রাফিক বিভাগ সারা দেশে নৌ-চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নৌ-চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত বিভিন্ন নৌ-টার্মিনালগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে- ঘূর্ণিঝড় তিতলি বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা থেকে ৮১৫ কিলেমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় তিতলি বুধবার মধ্যরাতের দিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি গোপালপুর ও কলিঙ্গপত্তমের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে।