ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ইতিমধ্যে ভোলার ঢালচর, কুকরি মুকরি, চর পাতিলা, মনপুরা ও কলাতলীর চরসহ ঝুঁকিপূর্ণ ২১টি চর থেকে ৩ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে। এছাড়া উপকূলের মানুষকে সতর্ক করতে বিভিন্ন এলাকায় রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিবির কর্মীরা মাইকিং শুরু করেছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় উপকূলের অভিমুখে কিছুটা এগিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আরও শক্তিশালী হয়েছে। এ কারণে ভোলাসহ উপকূলীয় জেলা সমূহকে ৭ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
ভোলা জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই দু’দফা জরুরি সভা হয়েছে। জেলা ও উপজেলাগুলোতে ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মাঠে থাকা বোরো ধান দ্রুত কেটে ঘরে তুলতে কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নদী এবং সাগরে থাকা সকল মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে থাকার মতো করে ১১০৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে অন্তত আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া পর্যাপ্ত আশ্রয়ের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্কুল ও কলেজগুলো খুলে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সিপিবি ও রেড ক্রিসেন্টের ১০ হাজার ৫০০ ভলান্টিয়ার, ৭৯টি মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
ইতিমধ্যে সরকারের তরফ থেকে ভোলার জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল, সাত লক্ষ টাকা ও তিন হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।