গণমাধ্যমের ওয়েবসাইট নকলকারী গ্রেফতার

0
292

ভোলা নিউজ২৪ডটনে ।। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিসহ ২২ গণমাধ্যমের ওয়েবসাইট নকল করার অভিযোগে এনামুল হক নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-২ এর কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুকী।

ফারুকী জানান, এনামুল হক বিবিসি, প্রথম আলো, বাংলা ট্রিবিউন, সময় টেলিভিশনসহ ২২টি গণমাধ্যমের ওয়েবসাইট নকল করেছেন। এগুলোর মাধ্যমে তিনি ভুয়া ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে পাঠকদের বিভ্রান্ত করতেন। আগে থেকেই এনামুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছিল।

তিনি আরও জানান, এনামুল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে বৃত্তি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কিওংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (কেএনইউ) পিএইচডি করছেন। কোরিয়ায় এক চক্রের মাধ্যমে তিনি ওয়েবসাইট নকলের কাজ করতেন। নিজের মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে গণমাধ্যমের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ওয়েব ডোমেইন কিনতেন।

গত বুধবার (২১ নভেম্বর) থেকে এনামুল হক নিখোঁজ ছিলেন বলে পরিবার দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল। তিনি আশকোনা থেকে নিখোঁজ হন।

এনামুল হকের সন্ধান চেয়ে দক্ষিণখান থানায় জিডিও করে তার পরিবার। এনামুলের বাড়ি পাবনায়। তার বাবার নাম ফজলুল হক। তিনি এক ছেলের বাবা।

র‌্যাব কর্মকর্তা ফারুকী বলেন, ‘এনামুল হক সকালে ঈশ্বরদী থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় আসছিলেন। এখান থেকে কোরিয়া যাওয়ার প্লান ছিল তার। কিন্তু গ্রেফতারের পর আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি সেই নিখোঁজ পিএইচডি গবেষক এনামুল হক। এতে আমরা ধারণা করছি, তাকে কেউ অপহরণ করেনি বরং সে নিজেই আত্মগোপনে ছিল গ্রেফতার এড়িয়ে কৌশলে কোরিয়া যাওয়ার জন্য। তবে তার আগেই আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে, গত বুধবার রাতে আশকোনার একটি বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে বের হওয়ার পর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে এনামুলের পরিবার জানায়।

পরিবার ও স্বজনরা জানান, গত ২২ অক্টোবর এক মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন এনামুল। গত বুধবার রাত ১টার দিকে তার কোরিয়া যাওয়ার কথা। বুধবার সকালে শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে আশকোনায় এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধুর বাসা থেকে বেড়িয়ে রিকশাযোগে বিমানবন্দরের দিকে রওয়ানা হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত মোবাইলে বন্ধুদের সঙ্গে তার কথা হয়। কিন্তু ১১টার পরে মোবাইল ফোন বন্ধ পেলে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পরদিন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ‘অপহরণকারী’ পরিচয়ে আসে ফোন। শুক্রবার ভোর মধ্যে দেড় লাখ টাকা দাবি করা হয়। তার পরিবার কথিত অপহরণকারীদের দেওয়া নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠিয়েও তাকে ফেরত পায়নি।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণখান থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়।

LEAVE A REPLY