ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : এক-এগারোর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো বিএনপিকে ভাঙার, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটের মতো আগামী নির্বাচন থেকে বিএনপিকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র আগামী দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে দলের নেতাকর্মীদের সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের আগে আজকে দলের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের প্রতি এই বার্তা দিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
ধরপাকড়, বাসায় বাসায় তল্লাশি আর গ্রেপ্তার আতঙ্কের মধ্যেই জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় যোগ দিতে আজ শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর লা মেরিডিয়েন হোটেলে আসতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় ও সারা দেশে থেকে আসা বিএনপির নেতারা। এই সভা শেষ করার পরই খালেদা জিয়ার আগামী সোমবার হযরত শাহজালাল (র:) ও হযরত শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারতের জন্য সিলেটে যাওয়ার কথা রয়েছে।
‘দলের সঙ্গে বেঈমানি করলে একবার ক্ষমা, বারবার নয়’ উল্লেখ করে খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যেখানেই থাকি আপনাদের সঙ্গেই থাকব। অনেক ষড়যন্ত্র হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। এক পা এদিকে আরেক পা অন্যদিকে দেবেন না। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।’
‘লোভ-লালসা, ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। এক-এগারোর সরকার আমাদের ভাঙতে পারেনি। এরাও পারবে না। এক-এগারোর ফর্মুলা অনুযায়ী সরকার বিএনপিকে মাইনাস করে আবারও একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চায়। এটা তাদের করতে দেওয়া হবে না।’
‘আমাকে ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না, আমি দেশের মানুষের সঙ্গে আছি। আসুন সবাই মিলে এ দেশটাকে আমরা রক্ষা করি’, যোগ করেন খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ শেষে আদালত আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন। এ মামলায় খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
রায়ের দিন ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন, যার ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন। প্রায় প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।