লেখক,এ আর সোহেব চৌধুরী
সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা এই বাংলার পথে
চলো বন্ধু হাড়িয়ে যাই একসাথে।
জানা অজানা শতসহস্র ফুলের দেশে
শঙ্খচিল বা শালিকের বেশে,
এই বাংলার পথে
চলো যাই হাড়িয়ে ;
হাত দুটো দাও বাড়িয়ে।
এসো কাদামাখি দুজনে ঐ গঞ্জের মোড়ে কাবাডির দলে মৃত্তিকায় গড়িয়ে।
এসো দু’চোখ মেলে দেখি
সোনালী ধান ক্ষেতের শেষে
নীল সাদা মেঘের আকাশ-
রয়েছে মিশে।
ঝুমঝুম বাতাস কুঁড়েঘরে,
কদমতলা ঝড়েছে ফুলে আষাঢ়ের বরিষে।
চলো হাড়িয়ে যাই ভোর সূর্যে সুখের আলোয়,
সব ঘুচিয়ে যাবে মন্দের ভালোয়।
বৃষ্টি ভেজা দিনে এসো খেলা করি হঁংস হয়ে দু’জনে,
কলমি আর শাপলা পাতার ফাঁকেফাঁকে ;
এসো ঝগড়াটে হই কাক শালিক আর চড়ুইয়ের ঝাঁকে ;
শেওলাটে পাথরে-
ঝর্ণার সচ্ছ জলে
সাদাটে বলাকার প্রতিবিম্বে
সেই বড় নদীর বাঁকে-
রাঙ্গামেঘে সাঁঝের হাঁকে ; পানকৌড় বা বুনোহঁসের দলে এসো হাড়িয়ে যাই
পশ্চিমের ঐ সূর্যের অস্তাচলে।
চল হাড়াই স্নিগ্ধ কোনো এক সকালে,
বনবাদাড়ে হিজলের পাড়ে
ঐ দিঘিজলে ;
এসো দু’জন মিলে
ঝিনুক খুলে মুক্তা তুলে
মালা গাথি ডুবসাঁতারে।
চলো ধান কাটার অগ্রহায়ণের বিকেলে
হাড়িয়ে যাই নবান্নের উৎসবে
বৌ ঝি বা কৃষকের ভিরে।
চলো হাড়িয়ে যাই এই বাংলার মাঠঘাট পথ প্রান্তরে শিশিরজলে,
ঘাসের ডগায় লাল নীল ফরিং
বা প্রজাপতিদের মেলায়
অথবা জোনাকির মিছিলে গোধূলি বেলায় ;
চলো হাড়িয়ে যাই দু’জনে
মায়ের ছেড়া আচলে
এই বাংলার পথে।