ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলার দৌলতখানে একসঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যমজ তিন ভাই-বোন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাদের এই সাফল্যে পরিবার ও এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,দৌলতখান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিনের দুই ছেলে মিয়াদ হাসান (সান) ও মেহেদি হাসান এবং এক কন্যা মুশফিকা জাহান মুন এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এদের মধ্যে মিয়াদ হাসান (সান) ও মেহেদি হাসান দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজ এবং মুশফিকা জাহান মুন ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়ে এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন।
তবে তাদের এই সফলতা এ বছর প্রথম নয়, তারা তিন ভাইবোন ২০১৩ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এছাড়াও যমজ দুই ভাই ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় ও ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় দৌলতখান সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। আর বোন মুশফিকা জাহান ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় ও ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় দৌলতখান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেন।
মুশফিকা জাহানের স্বপ্ন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। মিয়াদ হাসান ইঞ্জিনিয়ার এবং মেহেদী হাসান পাইলট হতে চান। তাদের এ সাফল্য অর্জন ও স্বপ্ন পূরণে বাবা মুসলেউদ্দিন ও মা বিবি ফাতেমা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের সব স্বপ্নই এই তিন সন্তানকে ঘিরে।
কথা হয় তাদের মা বিবি ফাতেমার সঙ্গে। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ১৫ মে ভোর ৪ টার দিকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বড় মেয়ে মুশফিকা জাহান মুন জন্মগ্রহণ করে। তার প্রায় ৭ ঘণ্টা পর বেলা ১১টায় মেজো ছেলে মিয়াদ হাসান (সান) ও তার ৪ ঘণ্টা পর বিকেল ৩টা নাগাদ ছোট ছেলে মেহেদি হাসান জন্মগ্রহণ করে। ছোটবেলা থেকেই তারা চঞ্চল ও মেধাবী প্রকৃতির। ছোটবেলা থেকেই বোর্ড পরীক্ষাসহ সকল পরীক্ষায় প্রায় একই রকম ফলাফল করে আসছে। আমি চাই আমার ছেলে-মেয়েরা তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য কাজ করবে।
দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ গৌবিন্দ প্রসাদ সরকার জানান, তারা খুবই ভালো শিক্ষার্থী। তারা তাদের মেধাকে কাজে লাগালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার বলেন, আমি এইচএসসি পরীক্ষায় যমজ তিন ভাইবোনের জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর শুনে খুশি হয়েছি। উচ্চশিক্ষার জন্য তাদের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।