বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে দোকান চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এক হিন্দু হোটেল কর্মচারীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার (২৪ মে) সকালে ইউনিয়নের ইলিশা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার কার্তিক দাস বলেন, ইলিশা বাজারের সোহাগ স্টোরের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহাগ হোসেনের সাথে তারই ভাই দিদারের সাথে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে মনোমালিন্য হয়। রাগ করে দিদার তার বাড়িতে না গিয়ে শনিবার রাতে আমার বাসায় আশ্রয় চাইলে আমি তাকে রাতে ঘুমাতে দেই। সকালে সোহাগ স্টোরের ঘর মালিক হারুন মুন্সি আমাকে বাসা থেকে ডেকে আনেন। এ সময় হারুন মুন্সি আমাকে জিজ্ঞেস করেন দিদার কি রাতে তোমার বাসায় ঘুমিয়ে ছিল। তখন আমি উত্তরে বললাম হারুন মুন্সি আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে। এসময় হারুন মুন্সি বলে তুই রাতে সোহাগের দোকান চুরি করেছিস। আমি তাকে যত বলেছি যে আমি চুরি করিনি এবং চুরি সম্পর্কে কিছু জানি না তিনি তা বিশ্বাস না করে আমাকে প্রকাশ্যে মানুষের সামনে মারধর করতে শুরু করে। এই ঘটনা শুনে স্থানীয় হিন্দু নেতা রামপ্রসাদ বাবু ছুটে আসেন। এসময় তিনি কি অপরাধে কার্তিককে মারধর করা হচ্ছে তাহা হারুনকে জিজ্ঞেস করেন। পরে ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সরোয়ারদি মাস্টার, হারুন মুন্সি, রামপ্রসাদ বাবু সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ চুরি হওয়ার দোকান পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে চুরি হওয়ার আলামত দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এ সময় তারা মন্তব্য করেন চোর যদি চুরি করত তাহলে বিষয়টি অন্যরকম হতো, এটা একটা পরিকল্পিত ঘটনা। এই বিষয়টি মারধরের শিকার কার্তিক দাস ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে কে জানান। ভুক্তভোগী কার্তিক দাস উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। অভিযুক্ত হারুন মুন্সির সাথে এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে সোহাগ স্টোরের মালিক সোহাগের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।