ভোলা নিউজ২৪ডটনে।। শাওমির হ্যান্ডসেটে আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ব্র্যান্ডটির ‘রেডমি গো’ মডেলের একটি হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ডিভাইসটির ক্রেতা।
জাহাঙ্গীর কিরণ নামের ওই ক্রেতা মঙ্গলবার (২৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নিজস্ব আইডি থেকে এমন অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে বিস্ফোরিত ডিভাইসের ছবিও তুলে ধরেন তিনি।
দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে কর্মরত জাহাঙ্গীর বলেন, গতকাল (সোমবার, ২২ জুন) রাজধানীর একটি শপিং মলে অবস্থিত শাওমির আউটলেট থেকে ফোনটি কিনি আমি। রেডমি গো মডেলের ১ জিবি র্যাম এবং ১৬ জিবি রম’র ফোনটির দাম রাখা হয় প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, বিক্রয় কর্মীর পরামর্শ অনুযায়ী ডিভাইসটি রাতে তিন ঘণ্টা চার্জ দিয়ে রেখে দেই। সকালে তাতে সিম ইনস্টল করার জন্য হাতে নিলে ডিভাইসটি খুবই গরম অনুভূত হয়। এতটাই গরম ছিল যে, আমার হাতের একটি আঙুল পুড়ে যায়। পরে আমি সঙ্গে সঙ্গে ডিভাইসটি হাত থেকে রেখে দিলে এতে বিস্ফোরণ হয় এবং পুরো ঘর ধোঁয়ায় ভরে উঠে।
এ বিষয়ে শাওমির পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড জিয়া উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, শাওমিতে আমরা গ্রাহকদের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেই এবং এ ধরনের ঘটনাগুলোকে আমরা সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চমান নিশ্চিতের জন্য আমাদের সব ডিভাইস কঠোর মান পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। আমরা এই গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আমরা বিষয়টির দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে সমধানের ব্যবস্থা করেছি।
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে বলেও জানান জিয়া। তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই আপনাদের এই বিষয়ে আপডেট দিতে পারবো। পণ্য, সেবা ও কাজের মাধ্যমে গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করতে এবং গ্রাহকদের সবচেয়ে সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে শাওমি।
তবে শাওমির এমন আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিস্ফোরিত ডিভাইসের ক্রেতা জাহাঙ্গীর কিরণ। তিনি বলেন, তারা (শাওমি) আমাকে বিস্ফোরিত হ্যান্ডসেট নিয়ে নতুন হ্যান্ডসেট দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। কিন্তু আমি রাজি হইনি। আমি শাওমি-ই আর ব্যবহার করবো না। এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ভাবছি।
শাওমির হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও শাওমি ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট এ বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।