আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ নীতিগতভাবে ইভিএমের পক্ষে।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বাসী। তবে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে, তারা ইভিএম সিস্টেমে নির্বাচন না করে আগের সিস্টেমে নির্বাচন করবে। এটা একান্তই তাদের ব্যাপার। কমিশন যেটা সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেটা মেনে নেব।
আজ সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কৃষকের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক আলোচনা সভা ও বিনা মূল্যে কৃষকের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ইভিএম প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন, সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। কমিশনের দায়িত্ব অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবুধাবি যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে উপস্থিত সব বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, যেন তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সার্বিক সহযোগিতা করে। কেউ যেন বাড়াবাড়ি এবং হস্তক্ষেপ না করে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। ফলাফল যাই হবে, সরকারি দল হিসেবে জনগণের রায় মাথা পেতে নেব। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত নির্বাচন চাই না।
‘বিএনপির প্রার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি বা বিরোধী দল যেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে, এটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা দায়িত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচন পেছানো প্রসঙ্গে কাদের বলেন, নির্বাচন পেছানোর সম্পূর্ণ দায়িত্ব ও এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনের তারিখ, আচরণবিধি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড- এসব ব্যাপারে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এসব দেখবে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডয়ের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের যুক্তি হলো বিএনপির মহাসচিব যদি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি কেন অংশ নিতে পারবেন না?
তিনি বলেন, দুনিয়ার সব গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে দেখেছি। ভারতের ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন এবং নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রেখেছেন। উন্নত দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় এমপি-মন্ত্রীদের প্রচারণা চালানোতে কোনো বাধা নেই। আমাদের এখানে কেন এমনটা হলো? এটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না।