ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : গেলো শনিবার আর রোববার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলাম। এতে কোটি-কোটি টাকা উড়তে দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব।১৬৯ জন ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে আট ফ্রাঞ্চাইজি। এর মধ্যে ৫৬ বিদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন। এতে খরচ করা হয়েছে ৪৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা রুপি। এছাড়া আরও ১৮ ক্রিকেটারকে দলে আগে থেকেই রেখে দেয়া হয়েছিল।
এদিকে এভাবে আইপিএলের টাকা ওড়া নিয়ে রীতিমতো কড়া ভাষায় কথা শুনিয়েছেন বোম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি এস সি ধর্মাধিকারী ও বিচারপতি ভারতী ডাঙ্গরেকে নিয়ে গঠিত বম্বে হাইকোর্টের বেঞ্চ আইপিএল সাবেক চেয়ারম্যান ললিত মোদীর একটি পিটিশনের শুনানি চালাচ্ছিলেন, সেখানেই আইপিএল নিয়ে তাদের অভিমত জানিয়েছেন বোম্বে হাইকোর্ট। আদালত নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, এই টুর্নামেন্ট শুধুমাত্র বিনোদন নয়। তরুণ ক্রিকেটাররা শুধু অর্থ উপার্জনের জন্যে আইপিএলে খেলতে আগ্রহী, তারা একটা টুর্নামেন্ট থেকেই ৫-১০ কোটি টাকা আয় করে ফেলেন। আদালতের মত, এর জন্য দেশের জন্য খেলার উচ্চাশা থাকে না। বরং দেশের জন্য খেলাতে নিরুৎসাহিত করে।একটি বিদেশি মুদ্রা আইন (ফেমা) মামলায় তাকে সাক্ষীদের পাল্টা জেরা করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ২০১৫ সালের জুলাইয়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে পিটিশন দায়ের করেছিলেন প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান ললিত মোদী। দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া ২০০৯ সালের আইপিএলে বিদেশি বিনিময় মুদ্রা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। ২০১৩ সালে ইডি বিদেশি মুদ্রা পরিচালনা আইনে ললিত মোদীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালু করে। তাদের অভিযোগ ছিল ২০০৯ এর আইপিএলের ঠিক আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) ও আইপিএল কর্তৃপক্ষ। ফেমা লঙ্ঘন করে সেই অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি মার্কিন ডলার ফেলা হয় বলে অভিযোগ ইডি’র।