মো: আফজাল হোসেন,বোরহানউদ্দিন থেকে ফিরে ॥ ভোলার মেঘনায় খুটিজাল অপসারন শুরু করেছে প্রশাসনসহ পুলিশের সমন্বয় যৌথ বাহিনী। এতে খুশি সাধারন জেলেরা। তাদের দাবী শুধু খুটিজাল নয় নিষিদ্ধ সব জালই অপসারন করতে হবে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী থেকে। একই সাথে সাধারন জেলেদের জন্য উম্মুক্ত করতে হবে এসব স্থান।
বেলা ১২টায় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সরাজগঞ্জ মাছঘাট সংলগ্ন মেঘনায় জেলা মৎস্র কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ থানা ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তারা বিশাল জাল ও বের দেয়া খুটি করাত দিয়ে কেটে ফেলে। ট্রলারে বেঁধে জাল টেনে জাল তুলে নস্ট করে দেয়া হয়। শ্রমিকদের নিয়ে জাল কেটে দেয়া হয় নদী থেকে। স্থানীয় জেলেরা বলেন,দীর্য দিন ধরেই আমরা এই স্থানে জাল ফেলতে পারতাম না। স্থানীয় কালাম নেতা নামে খ্যাত জনৈক ব্যক্তি বিশাল একটি ডুবো চর দখলে নিয়ে খুটি দিয়ে মেঘনা নদী দখলে রাখে। তার ভয়ে কেউ জাল ফেলতে পারতো না। প্রশাসনের এমন অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,শুধু এটানয় এমন যত খুটি ও পিটানোসহ নিষিদ্ধজাল রয়েছে সবই নদী থেকে তুলে দিতে হবে।একই সাথে তারা আজকের পরিবর্তন পত্রিকাকে ধন্যবাদ জানায়,সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করার ফলেই প্রশাসেনর টনক নড়ে। ফলে তারা নড়েচরে বসে এবং তারা আজকের অভিযান শুরু করে।প্রশাসন এমন অভিযান অব্যাহত রাখতে এমনটাই আশা সাধারন জেলেদের। তারা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের সর্বাত্তক সহযোগীতার ঘোষনা দেন জেলেরা।
এদিকে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন,আমরা কোন ধরনের চাপ অনুভব করছি না প্রভাবশালীদের। এসব এলাকায় সাধারন জেলেরা মাছ ধরতে পারতো না। খুটিজাল অপসারনের ফলে সাধারন জেলেরা নির্বিগ্নে এসব এলাকায় মাছ ধরতে পারবে। এছাড়া নদীর গতিপথ আর বাঁধাগ্রস্থ্য হবে না।
অপরদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বলেন,এসব জাল অবৈধ। এর ফলে নদীর নাব্যতার খতিও হয়। আমরা আশা করছি নিয়মিত অভিযানে এসব জাল ও খুটি অপসারন করতে সফল হব। তবে পর্যাপ্ত বাজেট পেলে অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য,মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে নিষিদ্ধ খুটা ওপিটানো জাল দিয়ে প্রভাবশালীরা ইলিশ মাছ ধরা নিয়ে দৈনিক আজকের পরিবর্তন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হবার পর নরে চড়ে বসেন প্রশাসন। এর ফলেই তারা অভিযান শুরু করেন।