ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে এ বিক্ষোভে ভারতের তেলাঙ্গানা রাজ্যে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জুন) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্যে রাজ্যে ট্রেনে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সঙ্গে চলছে রাস্তা অবরোধও। এমনকি বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঘটেছে হামলার ঘটনাও।
শুক্রবার ভারতের বিহার, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ তৃতীয় দিনের মতো অগ্নিপথ বিতর্কে বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গত বুধবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সের নারী-পুরুষেরা চার বছরের জন্য সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীতে চাকরি পাবেন। তাদের মূলত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ সময় তাদের প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপি বেতন এবং ৪ বছর পর ১১ থেকে ১২ লাখ রুপি এককালীন অর্থ দেওয়া হবে। কিন্তু ২৫ শতাংশের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণের চাকরি স্থায়ী করা হবে না।
এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এ প্রকল্পের বিরোধিতা করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড, দিল্লিসহ ১০টি রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বয়সসীমা কম হওয়ায় ও চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থী শত শত তরুণ রাস্তায় নেমে আসেন।
এদিকে তুমুল বিক্ষোভ চলার মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিপথ’ স্কিমের আওতায় কর্মী নিয়োগের বয়সসীমা বাড়িয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) চাকরিতে নিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা ২১ বছর থেকে বাড়িয়ে ২৩ বছর করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে এ সুযোগ শুধু চলতি বছরের জন্যই কার্যকর হবে। দুই বছর নিয়োগ বন্ধ থাকায় এ বছরের জন্য বিশেষ বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরও ভারতে উত্তেজনা প্রশমনের নামগন্ধ নেই। বরং তা সময়ের সাথে সাথে আরও বাড়ছে।
সূত্র: এনডিটিভি