ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম : ভোলার লালমোহনের ধলীগৌরনগরে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরিত হয়ে মনির নামের একজন নিহত এবং ফিরোজ নামের একজন আহত হয়েছে। আহত ফিরোজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়া হয়েছে।
গতাকাল রাতে উপজেলার ধলীগৌর নগর ৭নং ওয়ার্ড এলাকার জনতা বাজার সংলগ্ন আজাহার মাঝি বাড়ির জাহাঙ্গীরের ঘরে বোমা বানানোর সময় এঘটনা ঘটে। দীর্য দিন ধরেই জাতীয় সংসদস নির্বাচনের প্রার্থী হোয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইজ্ঞিনিয়ার নোমান এবং বর্তমান এমপি শাওনের সাথে প্রকাশ্যে গ্রুপিং চলছে। এঘটনায় একাধিক বার দুই সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। দুই গ্রুপে চলছে প্রতিযোগীতা। ইতিমধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশত আহত এবং ১০টি মটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিষয় নিয়ে এলাকাবাসী রয়েছে তীব্র আতংকে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিয়োগ বর্তমান এমপি শাওন গ্রুপের যুবলীগ নেতা মো: জাহাঙ্গীর তার নিজ বাসায় মনির বয়াতী ও ফিরোজকে নিয়ে বোমা বানানোর কাজ করছিলো। এসময় রাত আনুমানিক পৌনে ১১টার দিকে অসাবধানতা বসত বোমার বিস্ফোরন হয়। এতে ঐ ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। গুরুতর আহত হয় মনির বয়াতী ও মো: ফিরোজ।
খবর পেয়ে লালমোহন থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আশংকাজনক অবস্থায় মনির ও ফিরোজকে এ্যাম্বুলেন্সে করে বরিশাল নেয়ার পথে বোরহানউদ্দিনের পরে আসলে মনির মারা যায়। পরে আহত ফিরোজকে ঢাকা পাঠিয়ে মনিরের লাশ পুলিশ লালমোহন থানায় নিয়ে যায় বলে লাশের পোস্ট মর্টেম করতে আসা কনেস্টবল মো: জামাল হোসেন জানান। আজ মঙ্গলবার লাশ নিয়ে আসা পুলিশ সদস্য জামাল আরো বলেন,কিভাবে কি হয়েছে বিস্তারিত এ আমি বরথে পারবো না।
এদিকে এসব ঘটনায় স্থানীয়নী জনপ্রতিনিধিসহ সাধারন মানুষের মানঝে রয়েছে চরম ক্ষোভ। তারা বলেন,৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার এর ভাই জাহাঙ্গীর চরম বেপারোয়া যুবলীগ করায় এবং স্থানীয় এমপির কাছের লোক বলে চরম অত্যাচার করে সাধারন মানুষের উপর। যুবলীগ নেতা বলে জাহাঙ্গীরের ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। এর আগেই একাধিক হামলায় বোমা হামলার ঘটনার সময় ধারনা করা হচ্ছে সব বোমা হয়তো জাহাঙ্গীর বানিয়ে দিত বলেও বোমা বানানোর প্রমানের কথা স্বিকার করে নিলেন ধলৌগৌনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডর মেম্বার মো: সালাউদ্দিন। সবকিছুর পরেও বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে সাধারন মানুষের মাঝে। বিষয়টি এতটাই ভয়ংকর ছিলো যে নিহত মনির এর ডা হাতের কব্জি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এবিষয় লালমোহন থানার ওসি মো: মাহাবুবুল আলম বলেন,ঘটনার পর পরই পুলিশ ও এ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আহত ফিরোজ ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।