স্টাফ রিপোর্টার।। ভোলার দৌলতখান উপজেলার ৩নং চরপাতা ইউনিয়নের লেজপাতা গ্রামের মফিজউদ্দিন হাওলার (মাঝের) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার ২৫ আক্টোবর সকালে মফিজউদ্দিন হাওলার (মাঝের) বাড়িতে প্রবাসী আমজাদ হোসেন এর ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী শাওন (২৬) উপর একই বাড়ির স্থানীয় সন্ত্রাসী আব্দুর রব হামলা করে। এতে প্রবাসী আমজাদের ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী শাওন গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীরা আহত শাওনকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহত শাওনকে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসারত আছেন।
স্থানীরা জানান, আজ সকালে প্রবাসী আমজাদের ছেলে শাওন তাদের বাড়ির পিছোনে সুপারি পারতে যায়। তখন একই বাড়ির সাহেআলম এর ছেলে স্থানী সন্ত্রাসী আব্দুর রব রাম-দা নিয়ে হামলা চালায় এতে শাওন গুরুতর জখম হয়। রব এলকায় বিভিন্ন সময় নানা করর্মকান্ড নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
প্রবাসীর আমজাদের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম জানান, আমার শ্বশুর এর অয়ারিশি সম্পত্তি যা আমরা দিঘ্য ১০০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছি। এই সুপারির বাগাননিয়ে আমারদের সাথে একই বাড়ির সাহেআলমদের সাথে বিরোধ ছিলো যার পরিপেক্ষিতে আমরা থানায় মামলা করি যা আদালতের পৌছায়। যার মামলা নাম্বার ৩২৭/২০২০। আদালতের আদেশ অনুযায়ী মামলা সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভোগদখল করার অনুমতি দেয়। আজ আমার ছেলে সুপারি পারতে গেলে রব আমার ছেলেকে বাগানে একা পেয়ে পিছন থেকে রাম-দা নিয়ে হামলা করে। পরে আমার বাড়িতে এসে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
নাম জনাতে অনিচ্ছু এমন একাধিক লোক বলেন, রব এলাকায় জামাত সিবিরের করর্মকান্ড পরিচালনা করে যুব সমাজকে নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছে। এলাকায় রবের নেত্বীতে একটি কিশোর গ্যাংও পরিচালনা করে আসছে।এলাকার মানুষ রবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রব এর সাথে 01720495303 যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার খতিয়ানের জমিতে জোরপূর্বক সুপারি পারতে গেলে আমি বাধাঁদেই আর কিছুই ঘটেনি।
এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান হেলালউদ্দিন মেম্বার বলেন আমি এই বিষয়ে এখনও কিছুই জানি না তবে আমি ওই ওয়ার্ডের অদুধ মেম্বার এর সাথে যোগাযোগ করে দেখছি বিষয় টা কি।
এ ঘটনায় দৌলতখান থানার এসআই ও এই মামলার তদন্ত অফিসার মো: মাহামুদ তদন্তের জন্য ঘটনা স্থানে যায়। তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষর মধ্য ঝামেলা হয়। আমি ঘটনা স্থলে যাই বাদি পক্ষের কাছ থেকে হামলার ছবি ও ভিডিও নিয়ে আসি। বিবাদীর কাউকে পাওয়া যায়নি। বিকালে দুপক্ষকে থানায় আসতে বলেছি তারা আসলে মিমাংসার করে দিবে।