রফিক সাদী,তজুমদ্দিন ॥ তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেল দখল নেয়ার উদ্দেশ্যে হামলা ও অপহরনের ঘটনায় অপহৃত ৯ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় হামলাকারীদের ব্যবহৃত একটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়।। শনিবার বিকালে হামলার নেতৃত্বদানকারী হেলালউদ্দিন দর্জিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শশীগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে চরের বাসিন্দারা।
থানা ও হাসপাতাল সুত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। শনিবার সকালে তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপহরণ ঘটনার ১২ ঘন্টা পর উদ্ধার হওয়া শাহাবুদ্দিন মাঝীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, হেলাল দর্জির নেতৃত্বে অচেনা লোকসহ ৪০-৫০ জনের বাহিনী শুক্রবার ভোরে চর দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। প্রায় ৩০-৪০ জনকে এলোপাতারি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জকম করে। জাফর মাঝি, নুরুল হক, শরিফ, নিরব, নাজু মাঝী, দূলাল, হোসেন, আনোয়ার, ফরিদসহ ১০ জনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থা অপহরণ করে নিয়ে যায়।
থানা অফিসার ইন-চার্জ মোঃ ফারুক আহমেদ জানান, প্রায় ১২ ঘন্টা পর অপহৃত ৯জনকে মেঘনার মৌলভীর চর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে আলী আজগর, রাজিব, জুয়েল ওরফে জিয়া, মনি কে একটি ট্রলারসহ এবং পালিয়ে যাওয়ার হেলালের ভাই মহিউদ্দিন, ইব্রাহিম, কবিরসহ মোট সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা নং ০১, তারিখ ০২/০৩/১৮ ইং, ধারা ১৪৩, ৩২৩,৩২৪,৩২৫,৩৭৯, ৩৬৪/৩৪। আসামী ৫৯ জন। অভিযানে অংশ নেন ওসি মোঃ ফারুক আহমেদ, ওসি তদন্ত আনোয়ারুল ইসলামসহ সংগীয় পুলিশ সদস্যরা। মামলার বাদী উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরূল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, চর মোজাম্মেলের নিরীহ মানুষের উপর ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অপরাধে এমপি মহোদয়ের নির্দেশে হেলাল দর্জিকে চর ও দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। হেলাল পুনরায় চর দখল করতে আতংক সৃস্টির জন্য হামলা চালিয়ে কৃষকদের অপহরণের পর মুক্তিপন দাবী করে। ১২ ঘন্টা পর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এ ব্যাপারে মোবাইলে জানতে চাইলে হেলালউদ্দিন দর্জি বলেন, তারা গত ৬ মাসে চর থেকে আমার ৩-৪ শত লোককে পাঠিয়ে দিয়েছে। চরে আমার ব্যাপক সমর্থন আছে। তাই আমি চর দখলে নেয়ার চেস্টা করেছি। কারো কাছে মুক্তিপন দাবী করার কথা অস্বীকার করেন।