মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী ও মেঘনার মোহনায় লঞ্চ থেকে পড়ে হযরত আলী নামের এক তরুণ নিখোঁজ হয়েছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে।
তার সন্ধানে গজারিয়া কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ নদীতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। বিকেল সোয়া ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে সন্ধান পাওয়া যায়নি।
লঞ্চে থাকা কয়েকজন যাত্রী জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ওই তরুণসহ আরও ৬ বন্ধু লঞ্চে ওঠেন। লঞ্চে ওঠে তারা হৈ-হুল্লোড় করতে থাকেন। তাদের সবাইকেই গাঁজা সেবন করতে দেখা যায়। এতে কয়েকজন বাঁধা দিলেও কোনো লাভ হয়নি। তারা লঞ্চের কেরানী সোলেমানের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডায় জড়ায়।
নিখোঁজ হরযত আলীর বন্ধু জয়নাল উদ্দিন বলেন, আমরা ৭ বন্ধু মিলে মতলবের বেলতলী লেংকার মাজারে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী ও মেঘনার মাঝামাঝি স্থানে হরযত আলী টয়লেটে গিয়ে পা পিছলে নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়। আমাদের প্রত্যেকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকায়।
গজারিয়া কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা সদস্য মো. সুজন বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে হাফিস নামের একটি লঞ্চে বেলতলী মাজারে যাওয়ার জন্য ৭ বন্ধু লঞ্চে ওঠে। এর মধ্যে হরযত আলী নামে এক যুবক নদীতে পড়ে যায়। তবে কীভাবে সে পড়ে গেছে তা নিশ্চত হওয়া যায়নি। , লঞ্চের কেরানী সোলেমান জানিয়েছেন তারা গাঁজা সেবন করতেছিল। এর কিছুক্ষণ পরই একজন নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে।
গজারিয়া কোস্টগার্ডে ইনচার্জ মো. শাহাদাৎ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দুপরের দিকে ধলেশ্বরী ও মেঘনার মোহনায় লঞ্চ থেকে এক যুবক নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা উদ্ধার কাজ শুরু করি। আমাদের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশও উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, নিখোঁজ হরযত আলীর সঙ্গে থাকা ৬ বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোস্টগার্ড হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।