গণস্বাস্থ্যের কিটস আপাতত পরীক্ষার সুযোগ নেই : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

0
54

ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম ।। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ সোমবার জানানো হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশকেই র‌্যাপিড কিটস পরীক্ষার অনুমোদন দেয়নি। এ ক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্যের র‌্যাপিড কিটস পরীক্ষারও আপতত কোনো সুযোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে র‌্যাপিড কিটস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত ও নির্দেশিত হলে গণস্বাস্থ্যের কিটস গ্রহণে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।’

এ সময় বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ কিটস পরীক্ষার বিষয়াদি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঔষধ প্রশাসনকে যেভাবে দোষারোপ করেছেন, তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে গণস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে কোনোরকম প্রটোকল মেইনটেইন করেনি।

গতকাল রোববার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছিলেন,  ‘সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ব্যবসায়িক স্বার্থে জাতীয় স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছে। নানা অজুহাত দেখিয়ে গণস্বাস্থ্যের (করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ) কিট গ্রহণ করেনি সরকার। আমরা জনগণের স্বার্থে শুধু সরকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কিটটি কার্যকর কি না, তা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারিভাবে প্রতি পদে পদে পায়ে শিকল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।’

এর একদিন বাদে আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিটস‘ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান খান ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন অভিযোগের জবাবে দেন এবং নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।

ব্রিফিংয়ের শুরুতে অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান গণস্বাস্থ্যের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গতকালকে সাংবাদিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দেন।

পরে গণস্বাস্থ্যের কিটস গ্রহণ না করা ও ঔষধ প্রশাসনের অসহোযোগিতা প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান সরকারের পক্ষে নানা তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে ঔষধ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ধন্যবাদ জ্ঞাপনমূলক বেশ কিছু চিঠি সরকারকে দিয়েছে, সেগুলো তিনি তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে।

এ সময় মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে গণস্বাস্থ্যকে সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সরকারের কোনো প্রটোকল আজ পর্যন্ত মেইনটেইন করেনি। ঔষধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্যের কেন্দ্রে সরকারিভাবে বারবার পরিদর্শনে গেছেন এবং সেজন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা সরকারকে একাধিকবার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাপত্রও পাঠিয়েছে; যেগুলো তারিখসহ আমাদের কাছে রক্ষিত আছে। কিন্তু তাঁরা যা মুখে বলেছে বাস্তবে সে কাজগুলো করেনি। উল্টো সরকারকে জনসম্মুখে হেনস্তা করতে নানারকম বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে।’

ব্রিফিং শেষে অনুষ্ঠানে আগত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে হাবিবুর রহমান খান জানান, করোনা প্রতিরোধে খুব দ্রুতই আরো দুই হাজার চিকিৎসক ও ছয় হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের হাতে এক লাখেরও বেশি কিটস মজুদ আছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান ব্রিফিংয়ে সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY