ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : কঠিন শর্তে ২২ ফেব্রুয়ারির সমাবেশের অনুমতি পেতে যাচ্ছে বিএনপি। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল দলটি। তবে অমর একুশে বইমেলা থাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনো কর্মসূচির অনুমতি দিচ্ছে না সরকার। এ জন্য নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছোট আকারে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। সমাবেশের বিষয়ে জানাতেই দলটির নেতারা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। এতেই সমাবেশ সম্পর্কে জানাবেন তারা।
এদিকে দলটির একাধিক সূত্র মানবকণ্ঠকে জানিয়েছেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর মারমুখী আন্দোলনের পরিবর্তে অহিংস আচরণ দেখানোর কারণে সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বিবেচনাধীন রেখেছে। গতকাল সোমবার সমাবেশের অনুমতি পেতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।
বিএনপির প্রতিনিধিদলের এক সদস্য বলেছেন, ইনডোর বা আবদ্ধ জায়গায় বিএনপি সভা করতে চাইলে তাতে সহযোগিতা করার আশ্বাস ডিএমপি দিয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খান সাংবাদিকদেরকে বলেন, সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি সমাবেশের অনুমতি না দিলেও বিষয়টি একেবারে নাকচ করেননি। তিনি বলেন, দলের পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া না পাওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।
এদিকে দলটির কেন্দ্রীয় এক নেতা গতকাল মানবকণ্ঠকে বলেন, ডিএমপি কমিশনার ইনডোর প্রোগ্রাম করার বিষয়ে বলেছেন। ইনডোর প্রোগ্রামে পুলিশ সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বিএনপি যেহেতু খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়ার পর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে, তাই বিএনপির সমাবেশও হবে শান্তিপূর্ণ। সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে প্রয়োজনে আবারও দেখা করা হবে। সমাবেশের আর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও ডিএমপি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেয়ার কারণে সমাবেশ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বলে জানান দলটির একজন ভাইস চেয়ারম্যান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই নেতা বলেন, বিএনপি আপাতত ইনডোর প্রোগ্রাম করবে না। কারণ আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী রয়েছে। ছোট জায়গা নেতাকর্মীদের স্থান সংকুলান হবে না। এ জন্য আমরা আউটডোরে প্রোগ্রাম করব। ডিএমপি অনুমতি না দিলে প্রশাসনকে চরম মূল্য দিতে হবে।