ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের আখেরি মোনাজাত সম্পন্ন হয়েছে। মোনাজাতে অংশ নেন লাখো মুসল্লি। রোববার বেলা ১০টা ১৯ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় ১০টা ৪৫ মিনিটে। এর মধ্যে ১১ মিনিট আরবিতে এবং ১৫ মিনিট বাংলায় মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশের কাকরাইলের মাওলানা মো. জোবায়ের বাংলায় মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর আগে হেদায়েতি বয়ান পরিচালনা করেন বাংলাদেশি মাওলানা আবদুল মতিন।
মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা প্রাঙ্গণে ঢল নামে লাখো মানুষের। ময়দানের আশপাশের রাস্তায়ও অবস্থান নেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। ঢাকা থেকেই এই মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই টঙ্গী শহর, ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ভোর থেকেই শীতের মধ্যে লাখ লাখ মুসল্লি হেঁটে ও ট্রেনে করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে যান। নারীদের সংখ্যাও অনেক। ইজতেমার আশপাশের সড়কে মুসল্লিরা সকাল থেকেই অবস্থান নেন।
মুসল্লিরা ইসলামের আমল, আকিদা ও দাওয়াত বিষয়ে দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের বয়ান শোনেন। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়।
মুসল্লিরা সকালে বলেন, ইজতেমায় অংশ নিয়ে তারা দেশ ও মানুষের জন্য দোয়া করবেন। ইজতেমার শিক্ষা আমল করে ইসলামি জীবনাচরণে মনোনিবেশ করবেন। আখেরি মোনাজাত শেষে ইসলামি দাওয়াতি কাজে অংশ নেবেন।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন আর রশীদ বলেন, শনিবার গভীর রাত থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী, টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের মিরেরবাজার থেকে স্টেশন রোড, কামারপাড়া থেকে আশুলিয়া ও বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে ইজতেমার মুরব্বি মো. গিয়াস উদ্দিন ও মো. মাহফুজ বলেন, ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১২ জানুয়ারি কাকরাইল মসজিদে বৈঠকে আগামী বছর ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে সরকারের অনুরোধে তা এক সপ্তাহ পেছাতে শুক্রবার রাতে ইজতেমা ময়দানে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আগামী বছর ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।