সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ক্যাসিনোর সম্পর্কে বলেছেন, এই অভিযান কোনো ব্যক্তি গোষ্ঠী বা কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়, এটা অপরাধীদের বিরুদ্ধে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন এবং অভিযান শুরু করেছেন। নিজেদের ঘর থেকে, আপন ঘর থেকে তিনি শুরু করেছেন।
আজ শুক্রবার সকালে তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার খাড়াজোড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আন্ডারপাস কাজের পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, সড়ক ও জনপথেরর সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহানা ফেরদৌসসহ সড়ক বিভাগ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চলমান অভিযান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন কুতুবদিয়া থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত সারা বাংলাদেশের যেখানেই অপরাধী, দুর্বৃত্তরা চাঁদাবাজি, লুটপাট, টেন্ডারবাজি হবে, সেখানেই অভিযান চলবে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিষ্কারভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যাওয়ার আগে বলে গেছেন আমার এই শুদ্ধি অভিযান কোনোভাবেই শিথিল হবে না, এই অ্যাকশন প্রোগ্রাম চলতেই থাকবে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, র্যাবের কাজ র্যাব করবে। এখানে কাউকে ছোট করা হচ্ছে না। যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হবে, সে সেই দায়িত্ব পালন করবে। এখানে কাজ ভাগ করা আছে। র্যাবের জন্য স্পেসিফিক দায়িত্ব আছে। আর চাঁদাবাজি- টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে আর কিছু নেই। আমি বলব একটা কথায় যে দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙ্গে দিতে প্রধানমন্ত্রীর বদ্ধ পরিকল্প এবং এ ব্যাপারে যা যা করা তা আমরা করবো।
তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সম্পর্কে বলেন, বেগম জিয়ার বয়স হয়ে গেছে। এ বয়সে শরীর এবং তিনি সুস্থ সবল থাকবে এমন কথা নয়। তার জন্য চিকিৎসকের দায়িত্বে একটা টিম আছে এবং একটা বোর্ড আছে। তারা মাঝে মাঝে তার পরীক্ষা করে দেখেন। অসুস্থতার বিষয়ে বিএনপি যা বলে তার সঙ্গে চিকিৎসকদের যেরূপ রিপোর্ট তার কোনো মিল নেই। আমি বারবার এ কথা বলার চেষ্টা করেছি, এখন তিনি যদি আদালত থেকে জামিন পান এবং চিকিৎসকদের পরামর্শে বিদেশে যাওয়ার মত অবস্থা যদি হয়, সেরকম পর্যায়ে তার অবস্থার অবনতি যদি হয় সেটা পরবর্তীতে বিবেচনা করা হবে।