লালমোহনের চরছকিনা রেনু গংদের সঠিক কাগজপত্র থাকার পরও জমি বেদখল করতে মরিয়া আবুল কালাম গংরা

0
2

লালমোহন প্রতিনিধি ভোলা নিউজ ২৪ ডট কম
ভোলার লালমোহনে মোস্তফা গং ও আবু কালাম গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। রেনু গংদের ওই জমি থেকে কয়েকটি রেইন্ট্রি গাছ বিক্রি করলে আবুল কালাম গংরা বাঁধা প্রদান করে আসছে।
জানা যায়, কালমা ইউনিয়নের চর ছকিনা ৫নং ওয়ার্ডের সেকান্দর মুন্সি বাড়ীর মোস্তফা স্ত্রী রেনু গং ও আবুল কালাম গংদের মধ্যে চরছকিনা মৌজার ২৯৪৫,৪৬,৪৭নং দাগের বসত বাড়ীর ১০৩ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
মোস্তফা গং এর স্ত্রী রেনু বেগম জানান, আমাদের এই জমি নিয়ে কালাম গংদের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিলো। আমাদের ভোগ দখলীয় জমিতে অহেতুক বাঁধা প্রদান করলে ২০০৪ সালে কালমা ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। ওই মামলার দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে, মামলার চূড়ান্ত রায় চরছকিনা মৌজা ২৯৪৭নং দাগে জমির পরিমাণ ১৯ শতাংশ। এবং ২৯৪৫নং দাগে ৫৮ শতাংশ উক্ত দাগে বাড়ি, বাগান, পুকুর ভিটাসহ মোট ৭৭শতাংশ জমি রায় দেন গ্রাম্য আদালত। আমার প্রতিবেশী আবুল কালাম গংদের এস.এ খতিয়ান ২৮৮ ও ২৯৪৬ দাগ উক্ত খতিয়ানের ২৯৪৫ দাগে বাড়ি, দরজা, পুকুরসহ মোট ২৬ শতাংশ জমি রায় দেন।
আবুল কালাম গং এবং মোস্তফা গং এর স্ত্রী রেনু গংদের মনোনীত শালিশ বোর্ড, কালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন, মাসুদ বিশ্বাস, কাঞ্চন মাল, লকিতুল্যাহ মেম্বার, রতনসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতে বিজ্ঞ শালিগণ এই রায় দেন। এই জমি আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করেছি, হঠাৎ করেই আবুল কামাল গং এই জমি নিজেদের দাবি করে আমাদের বিরুদ্ধে ভোলা- আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন ১০৫৭নং দাগে। অথচ ওই দাগের জমি পার্শ্ববর্তী সোহাগ পন্ডিতের দখলে আছে। আদালত ঐ জমির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
আবুল কালাম গংরা আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে এবং ২০১৬ সালে কালাম গংরা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ঐ মামলায় ১০৫৭ নং দাগে সোহাগ পন্ডিত, আবুল কালাম গংদের রায়ের বিরুদ্ধে সোহাগ পন্ডিত ঐ রায়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করান। পরে আমরা স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন মাধ্যমে মোস্তফা গংদের, আবদুস সাত্তার, গোলমেহের, রেনু বিবি ও আবুল কালাম গংদের শাহে আলম, আবু তাহেরসহ, তাদেরকে বিচারের বসায়। বিচার কাজ পরিচালনায় ছিলেন, লালমোহনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজ পঞ্চায়েত, ফারুক মাল, গোলাম কিবরিয়া, (জুয়েল হাওয়ালার) মামুনুর রশিদ (গাজী পন্ডিত) মোতাহার হোসেন, বজলুল রহমানসহ সকলের মাঝে কাগজ অনুযায়ী জমি সঠিকভাবে বন্টন করার সিদ্ধান্ত নেন। এবং আমাদেরকে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তির উপস্থিতে জমি মেপে সীমানা নির্ধারন করেন। রেনু গং জানান, আমরা কয়েকটি রেইন্ট্রি গাছ বিক্রি করলে, আবুল কালাম গংরা ভোলা থেকে সাংবাদিক এনে আমাদের ও স্থানীয় শালিশদের বিরুদ্ধ মিথ্যা ও বৃত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে। আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও শালিশদের কাছে আমাদের কাগজপত্র অনুযায়ী সঠিক ন্যায় বিচার আশা করছি।

LEAVE A REPLY