ভোলার গ্যাস সিএনজি হয়ে আসছে ধামরাইয়ে, কারখানায় অগ্রাধিকার

ভোলার গ্যাস সিএনজি হয়ে আসছে ধামরাইয়ে, কারখানায় অগ্রাধিকার

0
6

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।সিএনজিতে রূপান্তর করে সরবরাহ শুরু হলো ভোলার গ্যাসের।

ধামরাইয়ের অবস্থিত গ্রাফিক্স টেক্সটাইল মিলে যাবে প্রথম এই সিএনজি।

 

গ্যাসের চাপ কম পাওয়া শিল্প কারখানাগুলো এই গ্যাসের মাধ্যমে কিছুটা গ্যাসের চাপ বেশি পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

৩ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) চাপে প্রতি সিলিন্ডারে গ্যাস আসবে ৩৫০০ ঘনমিটার।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি’র মাধ্যমে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ভোলার গ্যাস সিএনজিতে রূপান্তর করা এবং পরিবহন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জ্বালানি সচিব নুরুল আলম বলেন, প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস খুব বেশি না। তবে কেবল শুরু। আরও বাড়াতে হবে। এলএনজি যেমন বড় বড় জাহাজে আনা হয় তেমনি আনার চিন্তা করা হচ্ছে। সচিব বলেন, সিলেটে তেল পেয়েছি, সেটাও ফেলে রাখবো না। সিলেটে আরও তেল পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।

 

সচিব বলেন, সিলেটের কূপ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাবো বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আরও তিনটি কূপ খনন করা গেলে এই উৎপাদন আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে আমদানি কমানো সম্ভব।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, আমাদের প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা আছে প্রায় ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। আর সরবরাহ হচ্ছে ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের নিচে। এর মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাই ২১০০ মিলিয়নের মতো, আর আমদানি করা হচ্ছে কমবেশি ৮০০ মিলিয়নের মতো। ২০৪১ সালের পরিকল্পনা অনুযায়ী দুটি এলএনজি টার্মিনাল চালু হবে। ওমান ও কাতাদের সঙ্গে আরও একটি করে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করেছি।

তিনি জানান, বর্ডার পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। সরকারের অনুমতি পেলে শিগগিরই চুক্তি করা হবে। পাশাপাশি দেশের মধ্যে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ৪৬টি কূপ খননের যে কাজ চলমান রয়েছে সেটির লক্ষ্য বাড়িয়ে ৪৮ করা হয়েছে। ওই প্রকল্পে ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে তাতে ৭টিতে গ্যাস পেয়েছি। এতে করে ১২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে।

চেয়ারম্যান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে  ৫ মিলিয়ন ঘনফুট (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট পার ডে বা এমএমসিএফডি) এবং পরে আরও ২০ মিলিয়ন ঘনফুট সিএনজি আসবে। ২০২৪ সালের অক্টোবরের মধ্যে আরও ২০ মিলিয়ন আসার কথা।

তিনি জানান, ভোলায় আরও ৫টি কূপ খনন করা হচ্ছে, ২০২৬-২৮ এর মহাপরিকল্পনায় আরও কূপ খনন করা হবে। তাতে উৎপাদন সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।

অন্যদের মধ্যে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসির চেয়ারম্যান এইচএম হাকিম আলী বক্তব্য রাখেন।

 

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY