চরফ্যাশন-মনপুরা খেয়া পারাপারের নামে চলছে জুলুম

0
35

মো: আফজাল হোসেন,মনপুরা থেকে ফিরে :: স্বাধীন দেশে যেন পরাধীন আমরা। তেমনি জিম্মি ভোলার চরফ্যাশন টু মনপুরা রুটের খেয়া পারাপারে। চরফ্যাশনে বেতুয়া নতুন স্লুইসগেট খেয়াঘাটে মেঘনা নদী পারাপারে ইজারাদারদের কাছে রীতিমতো জিম্মিই না ক্ষমতা দেখিয়ে চলছে চরম জুলুম। তাই যাত্রীদের কাছ থেকে  জোরপূর্বক অতিরিক্ত টোল ও ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবাদে নেমে আসে হুমকি-ধমকি আর নির্যাতন। যে ভাবেই যান লঞ্চ মালিকদের টাকা দিতেই হবে। এযেন মগের মল্লুক। তবে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কথা স্বিকার করলেন সংশ্লিস্টরা।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, মনপুরার জনতা বাজার নামক ঘাটে আসলেই দেখা যায়,কোন পন্টুন নেই কিংবা যাত্রী উঠার মত কোন ব্যবস্থা নেই। খেয়ার লঞ্চ রয়েছে নদীর মাঝে। ঘাটে মটরসাইকেল নিয়ে পার হতে আসা যাত্রীদের সাথে ট্রলার স্টাফ এবং ঘাট ইজারাদারদের সাথে তুমুল হট্রোগোল হচ্ছে। এই ট্রলারে করেই লঞ্চ উঠতে হবে। এজন্য ঘাটে দিতে হবে মটরসাইকেল প্রতি ২শত আর ট্রলারে ১শত,লঞ্চ ভাড়া১৫০টাকার । একই ভাবে চরফ্যাশন এসে নতুন সুস্লুইজ ঘাটেতো আরো খারাপ অবস্থা। অগ্রিম টাকা দিলে ঘাট ইজারাদারদের ইশারায় লেবাররা মটরসাইকেল ধরতে রাজী নয়। সেখানেও ঘাটে ২শত এবং লেবারকে ১৫০টাকা দিতেই হবে। এর সাথে মটরসাইকেল মালিকের ভাড়া আলাদা। তাকে লঞ্চ ভাড়া বাবদ ১৩০টাকা। কোন প্রতিবাদ হলেও ঘাট ইজারাদার ও লেবারদের হাতে চরম ভাবে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। যাত্রীদের ব্যাগ টেনে ধরে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। মুলত এরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো খেয়া পরিচালনা করছেন ইজারাদার আর লঞ্চ মালিকরা। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে তারা যা করছে সেটাই নিয়ম।  খেয়া পারাপারের জন্য যাত্রীরা নির্ধারিত টোল দিতে চাইলে টোল আদায়কারীরা খারাপ ব্যবহার করছেন। যাত্রীদের লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেছে এই ঘাট গুলোতে। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময় ঘাট ইজারাদার ও ট্রলার মালিকরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বলেও অভিযোগ যাত্রীদের। তার চেয়েও খারাপ হচ্ছে কোন রুগী কিংবা কোন যাত্রী দ্রুত স্প্রিডবোডে যেতে চাইলে তাকে গুনতে হচ্ছে ডাবল ভাড়া। স্প্রিডবোড ভাড়াতো দিতেই হবেঅতিরিক্ত দিতে হবে লঞ্চের ভাড়াও। এভাবেই রামরাজক্ত চলছে এসব ঘাট গুলোতে। অভিযোগ রয়েছে এরা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস নেই বলে মো: মাইনুল ও শাহীন এবং লুৎফুর নাহার,রাবেয়া বেগম অভিযোগ করেন। মটরসাইকেল মালিক মাইনুল বলেন,একটি মটরসাইকেল পার করতে সাথে একজনসহ ১হাজার টাকা খরচ হয়। তা হলে কেন আমরা মনপুরা ঘুরতে যাব। ৫ বন্ধু মটরসাইকেল নিয়ে গিয়ে আমাদের চরম শিক্ষা হয়েছে। খেয়াঘাটের  ইজারাদারা প্রভাবশালী হওয়ায় যাত্রীদের রীতিমতো জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। ভাড়া আদায় নিয়ে প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়া ও মারধরের ঘটনা ঘটছে।

এবিষয় এম বি মা মাসুমা লঞ্চ মালিক মো: গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, আমরা খেয়া পারাপার করার চন্য লঞ্চ এনেছে আর অন্যরা স্প্রিড বোড চালাবে তাতে তো আমাদের লোকসান হবে। তাই ওদের কাছ থেকে লঞ্চ ভাড়া নিয় নিচ্ছি। আর পানি কম থাকায় ট্রলারে করে যাত্রী উঠানো হয়।

অপর স্লুইজগেট এর উজারাদার নুরে আলম মাস্টার বলেন,আসলেএতো বেশি নেয়ার কথা নয়। খোজ নেয়া হয়নি অনেক দিন। আজই খোজ খবর নিচ্ছি। আর বলে দিব যাতে হয়রানী না করা হয়।

চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক বলেন,এর আগে আপনার মত কেউ অভিযোগ করেনি। আপনিই প্রথম সমস্যার কথাটা বলেছেন। অবশ্যই আমি লোক পাঠিয়ে খোজ নিব এবং এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি যতদিন আছি ততদিন সাধারন মানুষকে হয়রানী হতে দিব না।

 

 

LEAVE A REPLY