ভোলাবাসীর দুর্ভোগের নাম বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড

0
635

আদিল হোসেন তপু।।

ভোলার ২০ লাখ মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাসস্ট্যান্ডের ভেতরের রাস্তাগুলো খাদা-খন্দকে পূর্ণ। বাসস্ট্যান্ড ভবনের কিছু অংশ ইতোমধ্যেই ধসে পড়েছে, বাকি অংশ রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। এখানে যাত্রীদের জন্য নেই ন্যূনতম কোন সুযোগ-সুবিধা। তবে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বলছে, আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

১৯৮৮ সালে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভোলায় নির্মাণ করা হয় তৎকালীন সময়ের সর্বাধুনিক দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল। নাম রাখা হয় ভোলার গর্ব বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের নামানুসারে ‌’বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল’। ভোলার অভ্যন্তরীণ ১০টি রুটের বাসসহ অন্যান্য জেলায় চলাচলকারী দূরপাল্লার সব বাসগুলোও এই স্ট্যান্ড ব্যবহার করে।নির্মাণের পর থেকে সংস্কার না করায় সেই আধুনিক বাস র্টামিনালটি এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এর ভেতরের রাস্তাগুলো ভেঙে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। সেই গর্তে পানি জমলে আর চলাচল উপযোগী থাকে না। যাত্রী আসা তো দূরে থাক গর্তে পড়ে প্রতিদিন বহু সংখ্যক বাস বিকল হচ্ছে। কাদা পানি ডিঙিয়ে বাসে ওঠার ভয়ে অনেক যাত্রী বাসে না উঠে বিকল্প যানবাহনে চলে যাচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অবস্থাও করুণ। ভাঙা রাস্তার কারণে অনেক বাস মহাসড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করে যার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।

স্ট্যান্ডের ভাঙা রাস্তার কারণে প্রতিদিন ৩০-৪০টি বাস বিকল হয়ে যাচ্ছে। বাসস্ট্যান্ডের মূল ভবনের অনেক অংশ ইতোমধ্যে ধসে পড়েছে, বাকি অংশ রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। এই বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের জন্য নেই ন্যূনতম কোন সুযোগ-সুবিধা। যাত্রীদের বসার  কোন ব্যবস্থা নেই। ক্যান্টিন নেই, টয়লেট নেই, বাসচালক ও শ্রমিকদের জন্য নেই কোন বিশ্রামের স্থান। বাস ড্রাইভাররা জানায়, বাস টার্মিনালে বড় বড় গর্ত, গাড়ি বের করতে ও ঢুকাতে অনেক অসুবিধা হয়। যাত্রীদের সড়ক থেকে তুলতে ও নামাতে হয়। এতে সড়কে যানজট লেগে যায়। বাস টার্মিনালের গর্তগুলোতে পড়ে বাসের নানা ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিদিনই কোন না কোন কাজ করানো লাগছে বাসের।

যাত্রীরা জানায়, টার্মিনালটি দক্ষিণ অঞ্চলের বৃহত্তম বাস টার্মিনাল। ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় যেতে হলে বাসযোগে যেতে হয় আর বাস টার্মিনালের এই দূরবস্থার কারণে প্রতিদিনই তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বাস টার্মিনালটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম। বাসস্ট্যান্ড পরিচালনাকারী ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, নতুন করে আধুনিক বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের জন্য ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা  হয়েছে। এখন এর ডিজাইন তৈরির কাজ চলছে। যার অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

LEAVE A REPLY