মৃত্যুর পর জানা যায় আইয়ুব আলী হোসেন রুবেলের সাতটি স্ত্রী ছিল!

0
47

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারে গার্ডারচাপায় নিহত আইয়ুব আলী হোসেন রুবেলের মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দেয় হাসপাতালে। এ সময় নিজের স্বামী দাবি করে হাজির হন তিন থেকে চারজন নারী। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কাউকেই রুবেলের মরদেহ দেয়া হয়নি। সমঝোতার ভিত্তিতেই শেষপর্যন্ত মরদেহ বুঝে দেয়া হয় রুবেলের ভাই জিয়ার কাছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া রুবেলের ছেলে হৃদয়ের খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা রুবেলের মরদেহ বুঝে নিয়েছেন। মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে তাকে সমাহিত করা হবে।’

রুবেল হোসেনের বোন রেহেনা খাতুন বলেন, `আমার ভাইয়ের দুই স্ত্রী। বাকি স্ত্রীরা নিজের স্বামী দাবি করলেও তারা বিয়ের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই দ্বিতীয় স্ত্রী ও আমার ভাইয়ের হাতে রুবেলের লাশ তুলে দিয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে আমার ভাই ও দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মীয় স্বজন মিলে অ্যাম্বুলেন্স যোগে লাশ নিয়ে মেহেরপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। রাতে দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে আমার ভাই যেহেতু মানিকগঞ্জের সিংরায় থাকতেন। সেখানে রাতে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ভোরের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে লাশটি পৌঁছাবে। সকালের ২য় জানাযা শেষে গ্রামের কবরস্থানে রুবেলের লাশ দাফন করা হবে। লাশ পৌঁছানোর পর জানাযার সময় নির্ধারণ করা হবে বলেও তিনি জানান।‘রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট- বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে ভায়াডাক্টের অংশ বা বক্স গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে নিহত ৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৫টায় তিনটি অ্যাম্বুলেন্স পাঁচ মরদেহ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গ ত্যাগ করে। তার আগে এক এক করে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল ছেড়ে যায়।

প্রথমে নিহত ঝর্না আক্তার ও তার দুই সন্তান জান্নাতুল ও জাকারিয়ার মরদেহ নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যায়। এরপর ফাহিমা আক্তারের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বের হয়ে যায়। দুটি অ্যাম্বুলেন্সই জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

LEAVE A REPLY