ঈদের আগে সড়কমন্ত্রী সেমিনারে বসে থাকতে পারে না: কাদের

0
385

ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সব অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রধান অতিথি হতে হবে, এটা কোন যুক্তি হলো। কিন্তু এটিই হচ্ছে। ঈদের আগে সড়কমন্ত্রী সেমিনারে বসে থাকতে পারে না। সম্ভব না। কয়েক দিন পরে ঈদ। সেমিনারে বসে থাকবো, আর রাস্তায় মানুষ যেতে পারবে না, সড়কে যানজট হবে, দুর্ঘটনা হবে সেখানে আমার কিছু করণীয় আছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। ৫জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে “পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এসডিজি-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির উদ্দেশে আগামী নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদে ফেলার এই খোয়াবটা দেখিয়েন না। বিএনপি যদি না আসে তাহলে তারা ছাড়া আর সবাই নির্বাচনে আসবে। বিএনপি ছাড়া সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন,আজকে বাংলাদেশের পরিবেশ যে ভয়াবহ পর্যায়ে গেছে। এদেশের রাজনীতিকরা দূষণের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। ভেজালের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। আজকে যারা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রশ্ন নিয়ে কথা বলেন, তাদের একটা উচ্চারণও ছিল না মাদকের বিরুদ্ধে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এদেশের কোন রাজনীতিবিদরা মাদক নিয়ে কথা বলেননি। এদেশের তরুণ সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সেদিকে তাদের খেয়াল নেই। এটা কি শেখ হাসিনার একক দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের একার দায়িত্ব। রাজনীতি শুধু কি প্রতিপক্ষকে গালাগালি করা, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অন্ধ বিদ্বেষ আক্রোশে কথা বলার নামই কি রাজনীতি প্রশ্ন তুলে কাদের আরও বলেন, একটি কথা কেউ ভেজালের বিরুদ্ধে বলে না। সবাই তত্ত্বকথা বলে।সবাই রাজনীতির নামে তত্ত্ব দিয়ে বেড়াচ্ছে। সরকার খারাপ। দেশ খারাপ।

শেখ হাসিনার রাজনীতি নট অনলি ফর নেক্সট ইলেকশন, তার রাজনীতি পরবর্তী প্রজম্মের জন্য দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের পরিবেশ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে, বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে রক্ষা করার জন্য। আজকে মাদকের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমার ভবিষ্যত, আমার তারুণ্যকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে। ভেজালের বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে। এই অভিযান আরো জোরদার করতে হবে। এগুলো নেক্সট জেনারেশনের জন্য আমাদের লড়াই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের টার্গেট আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। নেক্সট জেনারেশনের জন্য শেখ হাসিনার এই মাদক ও ভেজাল বিরোধী অভিযান তার নির্দেশনায় এগিয়ে চলছে।

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা তাদের সংবিধান থেকে ৭ধারা তুলে নেয় তারা বিচার মানে না। আইন মানে, ভেজালে তাদের কিছু আসে যায় না, মাদকে তাদের কিছ আসে যায় না। সন্ত্রাসে আসে যায় না। মাদক যদি একটি জেনারেশনকে ধ্বংস করে দেয় তাতে বিএনপির কিচ্ছু আসে যায় না। আরেকটা হাওয়া ভবনের স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্ন, সেই রঙ্গিন খোয়াব এদেশে আর ইনশাল্লাহ সফল হবে না। জনগণ এখন অনেক সতর্ক। অনেক সজাগ।

আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে নোংরা নেতিবাচক রাজনীতির জবাব দেবে। তারা পরাজয়ের গভীর ফাঁদে পতিভূত হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। আর মূল প্রবেন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। সেমিনারটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেং প্রমুখ।

LEAVE A REPLY