ভোলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তর সংখ্যা,১৪১ জনের মধ্যে ১৩জন ডাক্তারসহ পুলিশ

0
372

মোঃ আফজাল হোসেন ভোলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তর সংখ্যা দিনের পর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেই শুধু সচেতনতা। হাট-বাজার,শপিংমল,মার্কেটসহ সর্বত্র উপচে পড়া ভীড়। তবে প্রশাসনের নজরদারী খুবই কম থাকায় সবই চলছে ফ্রি স্টাইলে। এ পর্যন্ত ১৪১জন আক্রান্ত হলে তার মধ্যে ১৩জন রয়েছে ডাক্তার ও পুলিশ সদস্য।

সারাদেশে করোনা ভর করলেও দ্বীপ জেলা ভোলা দীর্যদিন ছিলো করোনামুক্ত। তবে তা আর বেশি দিন থাকতে পারেনি। লকডাউন শিথিল করার সাথে সাথে ভোলায় করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত শুরু হয়। ১০মে শিথিলের ৬দিনের মাথায় পুনরায় লকডাউন করে দেয়া হয় ভোলাকে। তবে সারাদেশের সাথে পুনরায় লাকডাউন উঠে গেলে ভোলায় লাফি লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে করোনা আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা। আগে প্রশাসনের নজরদারির ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ পথচারীরা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শুরু করেছিলো। তবে সারাদেশের সাথে ভোলার লকডাউন উঠে যাওয়ার পর প্রশাসন তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে ফিরে আসে। ফলে ফ্রি-স্টাইলে চলাচল শুরু করে ভোলার মানুষ। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই দেখা যায় না মার্কেট কিংবা দোকান গুলোতে। সামনে খালী বোতল রেখেই দ্বায়িত্ব শেষ করছেন দোকানীরা। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে এখন। লাফি লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রুগীর সংখ্যা। আর আক্রান্ত থেকে বা্দ যাচ্ছে না ডাক্তার কিংবা পুলিশ সদস্যরাও। এপর্যন্ত ১৪১জন করোনা আক্রান্ত হলেও তার মধ্যে ৬জন ডাক্তার আর ৭জন রয়েছে পুলিশ সদস্য। যার মধ্যে ৬জন ডাক্তারের মধ্যে চরফ্যাশনে ৪,বোরহানউদ্দিনে ২ ও দৌলতখানে ১জন ডাক্তার রয়েছেন। এছাড়া পুলিশ সদস্যরা রয়েছে ৭জন। যার মধ্যে চরফ্যাশনে ২,লালমোহনে ২,ভোলা সদর পুলিশ লাইনে ২ ও দৌলতখানে ১জন পুলিশ সদস্য রয়েছে। পুলিশের ৭জনের মধ্যে ১জন নারী পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

এদিকে আজ রবি বার সকালে ভোলা শহরের সদর রোডে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি কাউকে কাউকে মাস্ক বিতরন করতে দেখা গেছে প্রশাসনের পক্ষে।

ভোলার সিভিল সার্জন ডা: রতন কুমার ঢালী বলেন,আমরা প্রতিদিন সাধারন মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যে কারনে আমাদের ডাক্তাররাও আক্রান্ত হচ্ছে। তবে সাধারন মানুষের সচেতন হবে হবে সবার আগে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে সবাইকে। গত দুদিনে ৫০জন আক্রান্ত হয়েছে। আর সব মিলিয়ে ১৪১জন।

LEAVE A REPLY