করোনার কালবেলায় হঠাৎ সবাই ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে কেন! জানুন…

0
164

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। তিনিও মাথা কামিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘ছয় সপ্তাহ ধরে আমাদের লকডাউন চলছে। একঘেয়েমির জীবনে ভিন্নতা আনতে আমি মাথা কামিয়েছি।’ মাথা কামানোর তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা স্টিফেন গ্রাহাম, রিজ আহমেদও। এই পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষ নিজের চেহারা পরিবর্তন করতে চুল কামিয়ে ফেলছেন।

এই সময় নতুন কোনও কিছুই করার ইচ্ছে করছে না। বাড়ির রোজকার রুটিন আর তার সঙ্গে বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনাভাইরাসের আপডেট। বিশ্বের একাধিক দেশে জারি লকডাউন। করোনাভাইরাসের প্রতিকারে আপাতত এই পথই নিয়েছে বেশিরভাগ দেশ। মৃত্যু ও আক্রান্তের নিরিখে উইকে-র অবস্থা খুবই খারাপ। এই পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষ নিজের চেহারা পরিবর্তন করতে চুল কামিয়ে ফেলছেন।

এর কারণ হিসেবে বেশিরভাগেরই মত, আয়নার সামনে দাঁড়ালে যেন নতুন কাউকে দেখা যাচ্ছে বলে মনে হয়। এমনিতে সব কিছুই বন্ধ। স্যালোঁ থেকে পার্লার সবেতেই তালা। তাই মাথা কামানোর কাজও নিজেরাই হাতে তুলে নিয়েছেন। আর এভাবে মাথা কামিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করছেন ব্রিটেনবাসী।

পল ম্যাকেরলিয়ান। সাউথ ডেরি লেভির ২২ বছর বয়সী এই তরুণ নিজের চেহারার নতুন রূপ দিয়েছেন মাথা কামিয়ে। তিনি বিশ্বাস করেন যে কামানো মাথাগুলি সংকটের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে। তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমার মাথা আংশিকভাবে শেভ করবো। কারণ আমার চুল কাটার প্রয়োজন ছিল। এটা আংশিকভাবে সামাজিক দূরত্বের কারণে প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কয়েকজন বন্ধু ইতোমধ্যে মাথা কামিয়েছে। আমি ভেবেছিলাম আমি নিজেই এটি করব। আমার মা এই ধারণার প্রতিবাদ করেছিলেন। আমি যে মাথা কামিয়েছি তাতে মোটেও খুশি নন তাঁরা।

পল ম্যাকেরলিয়ান বলেছেন, ‘আমার বাবা আমার জন্যই মাথা কামিয়েছিলেন। তাই আমি অনুমান করি তিনি আমার কাজে কিছু মনে করেননি। আমার শেষ চুল কাটার পরে তা বড় হতে ছয় সপ্তাহ বা তার বেশি সময় লেগেছিল। আমার নতুন লুক বেশ পছন্দ হচ্ছে। মনে করি এর ফলে আমাকে ডার্মোট কেনেডির মতো দেখায়।’

তাঁর কথায়, ‘আমি মনে করি কামানো মাথাগুলি দ্রুত কোভিড-১৯ সঙ্কটের প্রতীক হয়ে উঠেছে। যতদিন লক ডাউন থাকবে ততদিনে আরও বেশি লোক মাথা কামিয়ে ফেলবেন।’

অক্সফোর্ডের একটি রেস্তোরাঁ পরিচালক ২৭ বছর বয়সী স্যাম লন্ডার । তিনিও মাথা কামিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘ছয় সপ্তাহ ধরে আমাদের লকডাউন চলছে। একঘেয়েমির জীবনে ভিন্নতা আনতে আমি মাথা কামিয়েছি।’

আর আমাদের দেশে জ্বিজ্ঞেস করতে উত্তরে এলো এক মাস লকডাউন বাইরে জেতে হবে না ততদিনে চুল উঠে যাবে,খুশকি থাকবে না,চুল পড়া বন্ধ হবে ।

আর অনেকে মজা করেও করছে এমন কাজ। অনেকে চ্যালেঞ্জও নিচ্ছেন বন্ধুদের সাথে মাথা ন্যারা করছেন।

LEAVE A REPLY