ভোলার লঞ্চ ডাকাতির ভুল তথ্য শুনে লঞ্চ যাত্রীর মায়ের স্ট্রোক

0
662

আরিফ উদ্দিন রনি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।।ভোলার লঞ্চ ডাকাতির গুুুজবের ভুল তথ্য শুনে লঞ্চ থাকা যাত্রীর  মায়ের স্ট্রোক করেছে।

ঢাকা থেকে ভোলা আসার পথে ক্রিস্টাল ক্রুজ লঞ্চে ডাকাত পরেছে/হামলা করেছে এমন গুজবের খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে লঞ্চে থাকা এক যাত্রীর মা স্ট্রোক করে যানাযায়।

২৮তারিখ রাতে ২৯ তারিখ মাঝরাতে ১২:৩০ মিনিটের সময়, ক্রিস্টাল ক্রুজ জাহাজটি চাঁদপুরের মোহনা দিয়ে অতিক্রম করার সময়, কোস্টগার্ডের রেগুলার চেকআপে ছিল। যা প্রতিটা লঞ্চেই দৈনন্দিন কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ করে থাকে।

লঞ্চ এর মাধ্যমে কোন পলিথিন বা কারেন্ট জাল আছে কিনা বা অন্যান্য অবৈধ কিছু যাতায়াত করে কিনা এটাই নৌ টহলের অংশ। এ বিষয়ে ক্রিস্টাল ক্রুজ লঞ্চের দায়িত্ব থাকা ইনচার্জ ফরিদ আহমেদ। ভোলা নিউজ টোয়েন্টিফোর কে জানান। রাত আনুমানিক ১২:৩০ এর সময়ে চাঁদপুর মোহনায় কোস্ট গার্ড কতৃপক্ষ আমাদেরকে সিগন্যাল দিলে রেগুলার চেকআপ এর অংশ হিসেবে আমরা লঞ্চ স্লো করি। তারা ও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়। লঞ্চের মালামাল রাখার যায়গায় চেকআপ করে তারা চার বস্তা নিষিদ্ধ পলিথিন পায়।

এই অবৈধ নিষিদ্ধ পলিথিন তারা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ক্রিস্টাল ক্রুজ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ ফরিদ আহমেদ এর কাছে জানতে চাওয়া হয় এই পলিথিন গুলা কার নামে এসেছিল? এর প্রতি উত্তরে তিনি জানান আসলে এগুলা কারো নামে আসেনি ।অন্যান্য মালামাল এর সাথে এসেছে। লেবাররা সকালবেলা কিছু একটা টাকার মাধ্যমে যার মালামাল তাকে বুঝিয়ে দেয়।

কিন্তুু এই চেকাআপ এর খবর কে গতকাল সেহরীর সময় লঞ্চ ডাকাতি হয়েছে বা ডাকাত লঞ্চে আক্রমণ করেছে এমন গুজব লঞ্চে থাকা কিছু যাত্রী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়।আর মিথ্যা গুজব এর খবর ভোলা শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ।

ঢাকা থেকে ভোলায় আশা ভুক্তভোগী ক্রিস্টাল ক্রুজ এর যাত্রী মোঃ আবুল কালাম  ভোলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট নেট  কে জানান । তার বাসায় এই ডাকাত গুজবের খবর শুনে রাতে তাকে ফোন করে।কিন্তু তিনি ঘুমিয়ে পড়ায় বাসা থেকে আসা তার ফোন ধরতে পারেনি তিনি। এদিকে ভোলা শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিস্টাল ক্রুজ লঞ্চ ডাকাত পড়েছে। এমত অবস্থায় আমার ফোনে আমার বাসা থেকে আমাকে না পেয়ে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। সেহরির সময় আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন।হসপিটালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার স্ট্রোক করেছেন বলে জানান।

তিনি আরো বলেন এটা আসলে মিথ্যে সংবাদ ।ফেসবুকের কল্যাণে আমরা অনেক ভালো কিছুই পাই আবার এর খারাপ দিকটি হলো এই। তথ্যবিভ্রাটের কারণে আমাদের আপনজন পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারে।

LEAVE A REPLY