চরফ্যাশনে মানবসমুদ্রে বিএনপির আলম

0
2693

মো: আফজাল হোসেন,চরফ্যাশন থেকে ফিরে ।। চরফ্যাশনে মানবসমুদ্রে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দিন আলম। দীর্য় প্রায় ৩বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকা চরফ্যাশনে বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম। বেলা সাড়ে ১১টায় ভোলা থেকে চরফ্যাশনে। তার আগমনে পুনরায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে ঝিমিয়ে পড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা। যার প্রমান মানুষের ঢল।

আজ ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপির অবিভাবক এলাকায় আসছেন এমন খবরে সাধারন মানুষের ঢল নামে চরফ্যাশন শহরে। হাজার হাজার মানুষের ঢল। মানুষের ঢল দেখে মনে হচ্ছে দীর্যদিন পর তারা আলোর মুখ দেখতে পেয়েছে। এসব মানুষের শুরু জেলা পরিষদ ডাক বাংলো থেকে শুরু হয়ে প্রায় নাজিম উদ্দিন আলমের বাসা পর্যন্ত এসে ঠেকেছে। রাস্তায় হাটার মত অবস্থা নেই মানুষের চাপে। রাস্তার পাশের এক দোকানী বল্লেন,ভাই অবাক হবেন না,দীর্যদিন পর মানুষ আলোরমুখ দেখতে পেয়েছে। তাদের প্রিয় নেতা সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম এসেছে খবরে সকলেই ছুটে এসেছেন। এটা নির্বাচনীর বাতাস মাত্র। এখনো আরো অনেক দেখবেন।

এরি মধ্যে বিএনপির সাবেক এমপি সাবেক ছাত্র নেতা নাজিম উদ্দিন আলম এর গাড়ী এসে পৌছলেই মানুষের আবেগ আর সীমাহীন ভালোবাসা এবং মানুষের ঢল দেখে আবেগ আপলুত হয়ে পড়েন আলম। গাড়ীতে না গিয়ে জনমানুষের নেতা আলম নেমে পড়লেন রাস্তায়। তাকে নিয়ে হাটতে শুরু করেছে সাধারন মানুষৈর বিএনপি পাগল মানুষেরা। রাস্তার পাশের দোকানীরা দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশে এসে দেখছেন আর করতালী দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন নাজিম উদ্দিন আলমকে। সকাল থেকে অবস্থান করা এসব মানুষের ঢল যখন উপজেলা সড়কের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো,তখন বিপরীত দিগ থেকে হঠাত একটি আওয়ামী লীগের মিছিল এসে নৌকা আর জয়বাংলা স্লোগান দেয়। এসময় কিছুটা সময়ের জন্য উত্তেজনার সৃস্টি হয়। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে যায়। পরে চলে যান তারা।

আনন্দ উৎসাহ যেন কমতি নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। জনসমুদ্রের পানির স্রোত গিয়ে শেষ হয় সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম এর বাসার সামনে। যদিও চরফ্যাশন থানার ওসি মো: এনামুল হক এর নেতৃেত্বে বিপুল সংখক পুলিশ উপজেলা সড়কের মোড় এবং বিএরডিপি অফিসের সামনে অবস্থান নেয়।

এদিকে মানবসমুদ্রে দাড়িয়ে বিএনপির জনপ্রিয় এই নেতা ও সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম তাকে দেখতে আশা নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,কেন্দ্রীয় নির্দেশ নিয়েই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করাতেই এই নির্বাচন। জালিম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,গনতন্ত্রকে উদ্ধার করতেই নির্বাচনে অংশ নেয়া। মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করে যেভাবে দেশ স্বাধীন করেছি তেমনি আপনারা গনতন্ত্র উদ্ধারের জন্য ভোট কেন্দ্র পাহারা দিবেন। আমরা কোন বিশৃংখলা করবো না। মানুষ বহু বছর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। তাদের ভোটাধিকার হরন করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে সেই ভোটাধিকার উদ্ধার করার। সকলকে এক্যবদ্ধভাবে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করার আহবান জানান। আলম আরো বলেন,মিথ্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেলে রয়েছে। যেকোন মুল্যেই হোক ভোটের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা হবে। এজন্য ধানের শীষের ভোট দিয়ে জয়লাভ নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।

অপরদিকে বিএনপি কর্মী মো: সামসুদ্দিন,ফরাজী আলমসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন,তাদেরকে অনেক বাঁধা দিয়েছে,যাতে এইখানে না আসতে পারি। আমরা গোপনে এসেছি। এখন যাওয়ার পর রাস্তায় রাস্তায় হামলা হতে পাএ আমাদের উপর। আসলামপুরে কর্মীসভায় হামলা করে মটরসাইকেল ভাংচুর,আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এসব অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।

 

LEAVE A REPLY